নিজস্ব প্রতিবেদন : সুযোগ পেলেই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তে দেখা যায় ভ্রমণপিপাসুদের। ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আবার কয়েক পা এগিয়ে বাঙালিরা। বাঙালিরা ঘুরতে খুব পছন্দ করেন আর যে কারণে বছরের অধিকাংশ সময় জমজমাট হয়ে থাকে বাংলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি। বাংলা ছাড়াও বাঙ্গালীরা দেশের অন্যান্য জায়গাতেও হামেশাই ঘুরতে যান।
যদিও ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাঙালিদের প্রথম চোখ থাকে দীঘা অথবা পুরি আর খুব বেশি হলে উত্তরবঙ্গ। এই সকল জায়গা ছেড়ে এবার গোয়া ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোয়া প্রশাসনের তরফ থেকে দারুণ এক বন্দোবস্ত নেওয়া হল। প্রশাসনের এই ব্যবস্থাপনার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনরকম দুশ্চিন্তা থাকবে না পর্যটকদের। দীঘা পুরীর মতো ধারেপাশের জায়গা ছেড়ে এবার নিশ্চিন্তে গোয়া ঘুরে আসতে পারবেন পর্যটকরা।
এমনিতেই গোয়ার মতো চোখ ধাঁধানো সমুদ্র সৈকতে পার্টি থেকে হইহুল্লোড় কিনা হয়ে থাকে। এসবের কারণে সারা বছরই বিপুল পরিমাণে পর্যটকরা সেখানে যান। তবে মাঝে মাঝেই এই জায়গায় পর্যটকদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে। প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে পর্যটকদের বহু কিছু খোয়াতে হয়, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর সমুদ্রের স্নানে নেমে বিপদ ডেকে আনেন।
সব মিলিয়ে গোয়া পর্যটকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও নিরাপত্তার দিক দিয়ে অনেক জায়গায় অভিযোগ রয়েছে। এই সকল অভিযোগকে দূরে সরিয়ে যাতে পর্যটকদের সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা প্রদান করা যায় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে আনা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এর পাশাপাশি থাকছে ডগ স্কোয়াড।
গোয়ার নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর বিষয়ে শুক্রবার সেখানকার পর্যটন মন্ত্রী রোহন খাউনতে এই সকল একাধিক ঘোষণা করেন। সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নজরদারি চালানোর জন্য কাজ করবে দৃষ্টি মেরিন। এর জন্য যেমন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের পাশাপাশি ১১টি প্রশিক্ষিত কুকুর থাকছে। যারা বিপদ বুঝলেই কাজে নামবে।