নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম সেক্টরে বেশকিছু টেলিকম সংস্থার ক্ষেত্রে তাদের অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর এই সংকট থেকে তাদের মুক্ত করার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কেন্দ্রের তরফ থেকে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো হয়েছে, এবার থেকে ১০০% বিদেশি বিনিয়োগ করা যাবে।
এযাবত যে নিয়ম ছিল তাতে ৪৯ শতাংশ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা ছিল না। তবে তার থেকে বেশি বিনিয়োগ করতে হলে কেন্দ্র সরকারের অনুমতি জরুরি ছিল। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ১০০% বিদেশি বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকছে না। অর্থাৎ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে টেলিকম মার্কেটে নিজেদের হাতেই মালিকানা রাখতে পারবে বিদেশী সংস্থাগুলি।
এর পাশাপাশি বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন সিম কার্ড কেনা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এখন থেকে গোটা দেশেই নতুন সিম কার্ড কেনাবেচার প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে। নতুন সিম কার্ড নিতে গেলে যে ফর্ম পূরণ করতে হতো সেই সকল ৩-৪ কোটি ফর্ম বর্তমানে গুদামে পড়ে রয়েছে। এতে কাগজের অপচয়ের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গুদামের জায়গা।
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, KYC পূরণের ক্ষেত্রেও এখন থেকে আর গ্রাহকদের কোনরকম ফর্ম ফিলাপ করতে হবে না। KYC প্রক্রিয়াও ছাড়া হবে অনলাইনে। টাওয়ার সেটআপ করার ক্ষেত্রেও যেসকল একাধিক অনুমতির প্রয়োজন ছিল তা এখন একটি পোর্টালেই পাওয়া যাবে। এই সকল সিদ্ধান্তের ফলে লাইসেন্স রাজের যে আধিপত্য ছিল তা মূলত শেষ করে দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে নতুন সিম কার্ড অর্থাৎ নতুন কানেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে যে নিয়ম রয়েছে তাতে গ্রাহকদের নিকটবর্তী যেকোনো রিটেল অথবা স্টোরে যেতে হয়। সেখানে নতুন কানেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনেই পুরো প্রক্রিয়া করা হয়ে থাকে। তবে এবার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই গ্রাহকরা নতুন সিম কার্ড পাবেন কিনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই ছাড়পত্রে আগামী দিনে অনলাইনে শপিং করার মতোই নতুন কানেকশন মিলবে কিনা তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।