নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনাকালে নির্বাচন কমিশনের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। তবে নির্বাচন কমিশন এই চ্যালেঞ্জ আগেই নিয়েছে বিহারের ক্ষেত্রে। আর সেই নির্বাচনে তারা সফলতা পেয়েছে। সেই কথাই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনিল আরোরা।
বিহার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে এদিন পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার সময় এই নিয়মের কথাই বলতে দেখা যায় তাকে। সেইমতো আসন্ন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনগুলিতে পূর্বের নির্বাচনের নিরিখে ভোটের নিয়মে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। সেই সকল নিয়ম বিধির মধ্যে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
১) পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৩১.৬৫% বুথ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে মোট বুথের সংখ্যা ছিল ৭৭,৪১৩, যা এবারের নির্বাচনে বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১,০১,৯১৬।
২) বুথের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমানতালে বাড়ছে ভোট কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা।
৩) বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিটি বুথ হতে হবে নিচের তলায়। অর্থাৎ গ্রাউন্ড ফ্লোরে থাকতে হবে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র।
৪) ভোট দানের সময় অন্যান্য বারের তুলনায় এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান করোনাকালের কথা মাথায় রেখেই এই সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আগে যেখানে বিকাল পাঁচটায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যেত, সেই জায়গায় এবার এই প্রক্রিয়া শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়।
৫) পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এবারের নির্বাচনে। তবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন ৮০ বছরের বেশি বয়স্করা।
৬) এবার প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকবে।
৭) অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রত্যাহার করা, জামানত জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকার পাশাপাশি অফলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইজন প্রার্থীর সাথে যেতে পারবেন।
৮) বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার সময় ৫ জনের বেশি যাওয়া যাবেনা।
৯) রোড শো এবং অন্যান্য শোভাযাত্রা করার ক্ষেত্রে মানতে হবে কোভিড বিধি এবং দূরত্ব বিধি।
[aaroporuntag]
১০) অবজার্ভার হিসেবে দুজন আইপিএস অফিসার নিয়োগ করা হলো। সেই সঙ্গে একজন স্পেশাল অবজার্ভার এবং একজন এক্সপেন্ডিচার অবজার্ভার থাকছেন। মোটের ওপর এবার পুলিশ অবজার্ভার থাকছেন না।