নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের শাসন ব্যবস্থায় ২০১১ সালে তৃণমূল আসার পর থেকেই একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্প চালু করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রকল্প চালু করার বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। ঠিক তেমনই এবার প্রসূতিদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে আসা হল, যার নাম ‘প্রসব সাথী’।
রাজ্য সরকারের প্রসব সাথী নামে এই নতুন প্রকল্পকে মানবিক উদ্যোগ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রসবের সময় এবার থাকতে পারবেন প্রসূতির আত্মীয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন এই প্রকল্পের আওতায় প্রসূতির প্রসবের সময় তার মা অথবা স্বামী পাশে থাকতে পারবেন। তবে সিজার পদ্ধতিতে প্রসব হলে এই সুবিধা মিলবে না।
প্রসবের সময় প্রসূতির পাশে আত্মীয়দের থাকার এই সুবিধা এযাবত বিদেশে এবং পশ্চিমবঙ্গেও হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিল। তবে এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা অনুসারে এখন এই সুবিধা পাওয়া যাবে, রাজ্য সরকারের হাসপাতাল, মাতৃ সদন এমনকি জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও।
নতুন মায়েরা প্রসবের সময় আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ভোগেন। এই সময় শারীরিক ক্ষমতার মতো মানসিক ক্ষমতাও প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের আত্মীয়দের খোঁজেন। কিন্তু লেবার রুমে ডাক্তার-নার্সরা ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না। যে কারণে নতুন মায়েদের কথা মাথায় রেখে নিয়মে বদল আনল রাজ্য সরকার।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে প্রসব হওয়া পর্যন্ত হাসপাতলে থাকতে পারবেন রোগীর আত্মীয়। মা অথবা মাতৃস্থানীয়া কেউ একজন থাকতে পারবেন তার সঙ্গে। এছাড়াও প্রসূতি যদি চান তার স্বামীর সঙ্গে থাকবেন তাও থাকতে দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে অন্যান্য প্রসূতিদের গোপনীয়তার দিকে নজর রাখতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।