নিজস্ব প্রতিবেদন : হাতে মাত্র আর কয়েকটি দিন তারপরেই শুরু হবে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2024)। আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এবার যে সূচি প্রকাশ করা হয়েছে সেই সূচি অনুযায়ী ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হবে। গত বছরের তুলনায় এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা অনেকটাই এগিয়ে আনা হয়েছে। শুধু মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা নয়, এর পাশাপাশি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে অনেক কড়াকড়ি পদক্ষেপ নিতে চলেছে পর্ষদ। পর্ষদের এইসব কড়াকড়ি পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো দিন শেষ হতে চলেছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফ থেকে জেলায় জেলায় বৈঠক সেরে ফেলা হয়েছে। এরই সঙ্গে সঙ্গে পর্ষদের তরফ থেকে গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে এবং সেই গাইডলাইনে একগুচ্ছ নির্দেশিকা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। যেসব নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সেই সকল নির্দেশিকা থেকে স্পষ্ট, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া তো দূরের কথা, যদিও বা তা ফাঁস হয় তাহলেও পর্ষদ তা ধরে নেবে এক নিমেষে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো ঘটনা যাতে আটকানো যায় তার জন্য এবার পর্ষদের তরফ থেকে প্রতিটি প্রশ্নপত্রে আলাদা আলাদা কোড লাগানোর ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে তাদের উত্তরপত্রে লিখতে হবে প্রশ্নপত্রের সেই আলাদা আলাদা কোড। আবার পরীক্ষার্থীদের অ্যাটেনডেন্স সিটে লিখতে হবে প্রশ্নপত্রের ক্রমিক নম্বর। অর্থাৎ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পর্ষদ এবং প্রশ্নপত্রের সেই কোড উত্তরপত্রে লেখার পাশাপাশি অ্যাটেনডেন্স সিটেও লিখে রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা হলে যে সকল শিক্ষকরা পরীক্ষা চালানোর দায়িত্বে থাকবেন তাদেরও ওই কোড লিখে রাখতে হবে। এছাড়াও পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছেন যারা পরীক্ষা হলে পৌঁছান পরীক্ষা দেন তাও তাদের অ্যাটেন্ডেন্স খাতায় গর হাজিরা দেখানো হয়। এইসব বিষয়ে এবার পর্ষদের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
এখন এই সকল ঘটনার ক্ষেত্রে কোন ভুল হলে কি হবে? এই সকল নির্দেশিকা পালনের ক্ষেত্রে যদি কোন ভুল হয় তাহলে সেই ভুলের দায়ভার বর্তাবে পরীক্ষা ঘরে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের উপরই। তার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফ থেকে। প্রশ্নপত্রে নতুন যে কোডের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই ব্যবস্থা অনুযায়ী যদি কোন পরীক্ষার্থী অথবা শিক্ষক প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তাহলেও সেই কোড নজরে আসবে। আর তা নজরে এলেই ধরা পড়ে যাবে কোথায় থেকে এবং কার মাধ্যমে এই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।