নিজস্ব প্রতিবেদন : বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের দীঘা (Digha) ভ্রমণে আসতে দেখা যায়। দীঘা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে হলেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেও প্রচুর সংখ্যক পর্যটক এসে থাকেন। ছুটিছাঁটা পেলেই হাতের কাছে থাকা এই সমুদ্র সৈকতে দৌড়ে যেতে দেখা যায় পর্যটকদের। তবে এবার দীঘায় আসা পর্যটকদের প্রশাসনের তরফ থেকে বেঁধে দেওয়া কিছু নিয়ম কড়া ভাবে মেনে চলতে হবে। আর তা না হলে পড়তে হবে ফ্যাসাদে।
নতুন যে নিয়ম জারি করা হয়েছে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থার তরফে (digha sankarpur development authority)। তবে শুধু এই নিয়ম পর্যটকদের জন্যই নয়, এই নিয়ম জারি করা হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে হকারদের জন্যও। নতুন এই সকল নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে নতুন এবং পুরাতন দীঘার জন্য। দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থার তরফ থেকে জারি করা এই সকল নিয়ম না মানলে ২২ আগস্ট থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
১) নতুন এবং পুরাতন দীঘায় যে সকল পর্যটকরা ঘুরতে আসছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, রাস্তার উপর যত্রতত্র পার্কিং করা যাবে না মোটরবাইক, নিজেদের পার্সোনাল গাড়ি অথবা অন্য কোন যানবাহন। স্থানীয় যে সকল অটো এবং টোটো চালকরা রয়েছেন তাদেরও এই নিয়ম মানতে হবে।
২) নতুন এবং পুরাতন দীঘায় যে সকল ব্যবসায়ী এবং হকাররা রয়েছেন তারা আর সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় পসরা নিয়ে বসতে পারবেন না যাতে করে পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। এক্ষেত্রে সমুদ্র সৈকতের গায়ে থাকা কংক্রিটের গার্ডওয়াল অথবা বোল্ডারের উপর ব্যবসার জন্য বসানো যাবেনা কোনরকম পসরা। এছাড়াও সরকারি জায়গায় যারা অবৈধভাবে গুমটি অথবা অন্য কোন ব্যবসার সরঞ্জাম নিয়ে বসে রয়েছেন তাদের অবিলম্বে সেখান থেকে উঠে যেতে হবে।
৩) গরু নিয়েও দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থার তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাজার সহ জনবহুল যে সকল এলাকার রয়েছে সেই সকল এলাকায় গরু ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, যাদের গরু ঘুরে বেড়ায় তাদের অর্থাৎ গরুর মালিকদের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এমনটা মানা না হলে গরু আটক করবে দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার কর্মীরা এবং মালিকদের কাছ থেকে জরিমানা নেওয়া হবে।
৪) এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে, দিঘা যাওয়ার রাস্তায় বাড়িঘর তৈরি করার অর্থাৎ নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত কোনরকম সামগ্রী রাস্তার ধারে ফেলে রাখা যাবে না। যদি এইরকম ঘটনা কেউ ঘটিয়ে থাকেন তাহলে তাকে অবিলম্বে সে সকল সামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে। সামগ্রী না সরালে সেই সকল সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করবে কর্তৃপক্ষ।