নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা হলো রেশন ব্যবস্থা (Ration System)। কেননা এই রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দেশের দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষদের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। করোনাকালে রেশন ব্যবস্থার গুরুত্ব কতটা তা হাড়ে হাড়ে টের পেতে দেখা গিয়েছিল দেশের মানুষদের। কেননা সেই সময় যখন দেশের অধিকাংশ মানুষ বেরোজগারে হয়ে পড়েন, তখন তাদের অন্নদাতা হয়ে দাঁড়ায় রেশন কার্ড (Ration Card)।
তবে রেশন পরিষেবা এতটা গুরুত্বপূর্ণ হলেও, রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গরিবদের মুখে অন্ন জোটানোর কাজ চালানো হলেও বিভিন্ন সময় এই পরিষেবা নিয়ে নানান ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। সেই দুর্নীতি নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে রেশন ডিলার প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে। আর এই সকল দুর্নীতিতে লাগাম টানতেই কেন্দ্র সরকার নতুন নতুন নিয়ম জারি করেছে এবং করছে।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতিতে লাগাম টানতে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল রেশন কার্ড (Digital Ration Card)। ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে দুর্নীতিতে কিছুটা হলেও লাগাম এসেছে, আর এই লাগাম যাতে আরও বেশি করে করা যায় তার জন্য নতুন নিয়ম হিসেবে জারি করা হয়েছে ePOS এর ব্যবহার। গত বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে এখনো তা সম্ভব হয়নি।
এই ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত কার্যকর না হওয়ার পিছনে রাজ্য সরকারগুলির গাফিলতি দেখছে কেন্দ্র। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত না হলে ভর্তুকি আটকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই ভর্তুকি আটকে দেওয়ার কথা উঠতেই তড়িঘড়ি শুরু হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মার্চ মাস থেকেই ePOS মেশিনের ব্যবহার পুরোপুরি ভাবে চালু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এই ব্যবস্থার ফলে কারচুপির দিন পুরোপুরি ভাবে শেষ হয়ে যাবে এমনটাও আশা করা হচ্ছে।
কেননা ePOS মেশিনে উপভোক্তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপলোড থাকবে। যার ফলে যখনই উপভোক্তা রেশন দোকান থেকে রেশন সামগ্রী তুলবেন তখন সেই আপডেট সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে উপর মহলে। এছাড়াও এই ePOS মেশিনে কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী রেশন ডিলারের কাছে মজুত রয়েছে, কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হলো, কত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন সব তথ্য খুঁটিনাটি ভাবে রেশন ডিলারের কাছে থাকার পাশাপাশি তার উপর মহলের কাছেও থাকবে।