নিজস্ব প্রতিবেদন : শিক্ষা (Education) ব্যবস্থা যাতে শিক্ষার চলে এবং উন্নয়ন করা যায় তার জন্য শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন সময় শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের জন্য নতুন নতুন নিয়ম জারি করে থাকে। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই সকল নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। তবে এবার স্কুল শিক্ষকদের (Teachers) চাকরির ক্ষেত্রে নতুন একটি নিয়ম আসতে পারে বলে জল্পনা ছড়াচ্ছে। আর সেই জল্পনা রীতিমতো রাতের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে শিক্ষক মহলের।
শিক্ষকদের চাকরির ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে নিয়মে বদল আনার ক্ষেত্রে এই রকমই একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মমতার মন্ত্রিসভা অনুমোদিত রাজ্যের শিক্ষা নীতিতে এমন প্রস্তাব দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, নতুন শিক্ষানীতি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে সরকার আর সেখানেই শিক্ষকদের চাকরির ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়মে পরিবর্তন চলে আসবে।
নতুন এই নিয়মের ক্ষেত্রে কি এমন আনা হচ্ছে যাতে শিক্ষকদের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে? আসলে এই শিক্ষানীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, চিকিৎসক নিয়োগের সময় যেমন চিকিৎসকদের ৫ বছরের জন্য গ্রামে পাঠানো হয়, ঠিক সেই রকমই শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও ৫ বছরের জন্য গ্রামে পাঠানো হতে পারে শিক্ষকদের। যদিও এই ৫ বছরের জায়গায় অন্য কোন নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে তাদের মাধ্যমেই গ্রামীণ স্কুলগুলির শিক্ষাব্যবস্থা চালু থাকবে। নতুন এই নীতি প্রণয়নের কথা বিবেচনা করতে পারে রাজ্য সরকার।
নতুন এই শিক্ষানীতি চালু করার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এর অনুমোদন দিলেই তা চালু হয়ে যাবে শিক্ষকদের জন্য। এই নতুন নিয়ম চালু হলেই সরকারের তরফ থেকে যেকোনো শিক্ষককে নির্ধারিত সময়ের জন্য গ্রামে পাঠাতে পারে। আর এর ফলেই চিন্তা বাড়ছে শিক্ষক মহলের একাংশের মধ্যে।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের নতুন শিক্ষানীতিতে বাংলা ভাষাকে অনেক বেশি জোর দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাকেও আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাংলা ভাষা পড়াতে হবে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। আর সেই অনুযায়ী পাঠ্যক্রম তৈরীর কথা বলা হয়েছে।