TRAI Rules: বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। যার মাধ্যমে ঘরে বসেই দূর-দূরান্তের মানুষের সাথে চলে কথোপকথন। শুধু কথোপকথন না, বর্তমানে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বাড়িতে বসে করা যায় আয়-উপার্জন। যার জন্য দরকার পড়ে ইন্টারনেটের। এ কারণে ফোনের সিম কার্ডকে সবসময়ই সক্রিয় রাখতে হয়। আর তার জন্য খরচ হয় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। অন্যদিকে কিপ্যাডওয়ালা ফোনেও রিচার্জ করতে বেশ টাকা খরচ হয়। আর সেই সব গ্রাহকদের জন্যই এক খুশির খবর শোনালো ট্রাই। চালু করল নতুন নিয়ম।
এখনকার সময়ে বহু মানুষকে দুটি করে সিম ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে রিচার্জের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই দুটো সিম সক্রিয় রাখতে পারেনা। দিনের পর দিন একটা সিম রিচার্জহীন ভাবে পড়ে থাকে। মূলত সেই সমস্ত গ্রাহকদের জন্যই নতুন নিয়ম ঘোষণা করল ট্রাই (TRAI Rules)। যা মানতে হবে জিও, ভিআই, এয়ারটেল, বিএসএনএল টেলিকম সংস্থাগুলিকে। কি সেই নতুন নিয়ম?
TRAI -এর নিয়মে (TRAI Rule) বলা হয়েছে, জিও, ভিআই, এয়ারটেল, বিএসএনএলের গ্রাহকদের রিচার্জের খরচ এবার থেকে অনেকটাই কমবে। ন্যূনতম ২০ টাকা রিচার্জ করলেই সক্রিয় থাকবে সিম কার্ড। আর তা না করলে নির্দিষ্ট সময়সীমার পর সিম কার্ড ডিসকানেক্ট হয়ে যাবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট টেলিকম কোম্পানি সেই সিম কার্ড অন্য গ্রাহকের নামে ইস্যু করতে পারবে। কত দিনের মধ্যে করতে হবে এই রিচার্জ?
আরও পড়ুন:Rules For Jagannath Darshan: জগন্নাথ দর্শনে নতুন নিয়ম, পুরীর মন্দির নিয়ে নয়া বিধিনিষেধ প্রশাসনের
ট্রাই এর নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনো ব্যক্তির প্রিপেড নম্বরের রিচার্জ শেষ হওয়ার পর ৯০ দিন সেই নম্বরটি অ্যাক্টিভ থাকবে। অর্থাৎ রিচার্জ ভ্যালিডিটি শেষ হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে সেই নম্বরে ভয়েস কল বা যে কোনো রিচার্জ না করলে নম্বরটি ডিঅ্যাক্টিভ করে দেওয়া হবে। তাই সিম কার্ড চালু রাখতে গ্রাহকদের জন্য নূন্যতম ২০ টাকার রিচার্জের নিয়ম (TRAI Rules) এনেছে ট্রাই। শুধু তাই না পাশাপাশি সময়সীমা আরও ৩০ দিন বাড়িয়েছে ট্রাই।
কোনো ব্যক্তি যদি নূন্যতম ২০ টাকা রিচার্জ করে রাখেন সেক্ষেত্রে ব্যক্তি রিচার্জ শেষ হওয়ার পর আরো ৩০ দিন সিম কার্ড সক্রিয় রাখতে পারবেন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রিপেড নম্বরে রিচার্জ ভ্যালিডিটি শেষ হয়ে গেলে ঠিক তার ৯০ দিন পর প্রতি মাসে অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ টাকা কেটে নেওয়া হবে। যার ফলে সিম কার্ডের সক্রিয়তা আরও ৩০ দিন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে কোনো ব্যক্তির সিম কার্ডে যদি পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকে সেক্ষেত্রে সেই গ্রাহককে টপ আপ রিচার্জের জন্য ১৫ দিন গ্রেস পিরিয়ড দেওয়া হবে। আর তার মধ্যেও যদি রিচার্জ না করা হয় সেক্ষেত্রে সেই সিম কার্ড ডিঅ্যক্টিভ করতে পারবে কোম্পানি। তাই আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে সিম চালু রাখতে হবে না গ্রাহকদের। এবার থেকে ন্যূনতম প্ল্যানে গ্রাহকরা নিজেদের সিম কার্ড চালু রাখতে পারবেন।