Tata New Scheme: পোস্ট অফিস ফেল, টাটা দিচ্ছে কপাল খোলার দারুণ সুযোগ, সহজেই হওয়া যাবে লাখপতি

Prosun Kanti Das

Published on:

Tata’s new scheme will make the post office fail: সঞ্চিত অর্থের সাহায্য উপার্জন করতে চান সকলেই। কিন্তু আর্থিক ঝুঁকি নিতে চান না কেউ। তাই সুরক্ষিত বিনিয়োগ হিসেবে ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট অথবা রেকারিং ডিপোজিট স্কিমগুলিকে বেছে নেন সাধারণ মানুষ। বিশেষত অবসরপ্রাপ্তরা এই ধরনের প্রকল্পের উপরেই বেশি ভরসা করেন। মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার মার্কেটের মতন জায়গায় বিনিয়োগ করলে লাভের পরিমাণ যেমন বেশি হয়, ক্ষতির সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই সেই দিকগুলিকে সাধারণত যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন বেশিরভাগ লোক। কিন্তু টাটা কোম্পানি আপনাদের জন্য নিয়ে এলো দারুন সুযোগ (Tata New Scheme)। এবার সামান্য বিনিয়োগে আপনিও হতে পারেন লাখপতি।

বিনিয়োগের মাধ্যমে উপার্জন করতে হলে একটু ঝুঁকি নিতেই হবে। যত বেশি ঝুঁকি নেওয়া যাবে ততই উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কম বিনিয়োগে বেশি রিটার্ন পাওয়ার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড সব থেকে উপযুক্ত জায়গা। ঝুঁকি থাকে ঠিকই, কিন্তু লাভ হলে সেই লাভের পরিমাণ হয় অনেক বেশি। তাই কম খরচে, কম সময়ে বেশি টাকা উপার্জন করতে চাইলে ঝুঁকি নিতেই হবে। টাটা কোম্পানিও নিয়ে এসেছে মিউচুয়াল ফান্ড প্রকল্প (Tata New Scheme)। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে হতে পারেন লাখপতি। বিনিয়োগ করতে হবে মাত্র সামান্য কিছু টাকা। তবে হ্যাঁ এই প্রকল্পেও কিন্তু ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে ষোল আনা।

ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা রেকারিং ডিপোজিটে বিনিয়োগ করে আপনি খুব বেশি হলে কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন? কিন্তু টাটা কোম্পানির এই মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমে (Tata New Scheme) বিনিয়োগ করলে সহজেই আয় হবে প্রায় ৩ গুণ বেশি টাকা। প্রতি মাসে বিনিয়োগ করতে হবে মাত্র ৭৯০ টাকা। ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করলে, ৫ বছর পর আপনিও হয়ে যাবেন লাখপতি। টাটা স্মল ক্যাপ ফান্ড রেগুলার গ্রোথ নামক এই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে আপনি খুব কম সময়ে অনেক টাকা রিফান্ড পেতে পারেন। এটিতে বিনিয়োগ করার অর্থ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগানো হয় সারা দেশব্যাপী বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ী সংস্থাগুলির জন্য।

আরও পড়ুন 👉 KVP Scheme: পোস্ট অফিসের এই স্কিমে ১১৩ মাসেই টাকা ডবল, না জানলে হবে বিগ লস

৫ বছরের বেশি সময় ধরে টাটা স্মল ক্যাপ ফান্ড রেগুলার গ্রোথ নামক মিউচুয়াল ফান্ডটি (Tata New Scheme) ব্যবসা করে চলেছে স্বমহিমায়। গত ১ বছর ধরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রিটার্ন পাওয়া গেছে ৪৪ শতাংশ টাকা। ৫ বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বিনিয়োগকারীকার রিটার্ন করেছে ২৯ শতাংশ টাকা। আর গত ৩ বছরের পরিমাণ ছিল ২৭ শতাংশ। কিভাবে ধরে রেখেছে এই মিউচুয়াল ফান্ড? এখনো পর্যন্ত রিটার্নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ শতাংশ। গত ৩ বছর রিটার্নের পরিমাণ সামান্য কমলেও এই বছর তা পূরণ করে নেবার লক্ষ্মেই রয়েছে টাটা। এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাইলে বছরে নূন্যতম ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় বিনিয়োগকারীকে। এর সাথে এসআইপি বাবদ অতিরিক্ত নূন্যতম ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে প্রতি মাসে। তবে এসআইপি করাবেন কিনা তা সম্পূর্ণ বিনিয়োগকারীর সিদ্ধান্ত।

কোন বিনিয়োগকারী যদি মাসে 790 টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে ৫ বছর পর লক্ষ্যাধিক টাকা রিটার্ন হিসাবে পাবেন। এসআইপি পদ্ধতিতে বিনিয়োগ করলে খুব সামান্য অর্থ বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে। টাটার এই প্রকল্প থেকে মাসে মাত্র ৭৯০ টাকা বিনিয়োগ করলে ৫ বছরে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ হবে মাত্র ৪৭ হাজার ৭০০ টাকা। কিন্তু ২৭% রিটার্ন পেলে ৫ বছর পর রিটার্ন পাওয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৫২৮ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ডবলেরও বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে, শুধুমাত্র সুদ থেকে। তাই আর দেরি না করে কম বিনিয়োগে বেশি উপার্জন করতে চাইলে টাটা স্মল ক্যাপ ফান্ড রেগুলার গ্রোথ মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমটিতে (Tata New Scheme) বিনিয়োগ করুন আর পেয়ে যান লাখপতি হওয়ার সুযোগ।