Shahi Imam of Jama Masjid: কত টাকা বেতন পান জামা মসজিদের ইমামরা! কোথায় থেকে আসে টাকা!

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

New Shahi Imam appointed at Jama Masjid Delhi: ভারতের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় একটা সময় আমাদের দেশ শাসন করতেন মুঘল সম্রাটরা। মুঘল সাম্রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ট একজন সম্রাট ছিলেন শাহজাহান। তার আমলে নির্মিত স্থাপত্য গুলির মধ্যে অন্যতম একটি হলো দিল্লির জামা মসজিদ। বহু প্রাচীন ইতিহাসের ঐতিহ্য বহন করা এই দিল্লির জামা মসজিদে একটি গুরুত্বপূর্ন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো গত রবিবার অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি। এই দিন দিল্লির বিখ্যাত জামা মসজিদে শাহী ইমাম (Shahi Imam of Jama Masjid) হিসেবে দস্তরবন্দী হয় শৈয়দ ওসামা শাবান বুখারির।

Advertisements

জানা যায় দিল্লির এই জামা মসজিদে যুগ যুগ ধরে শাহী ইমাম পদে অধিষ্ঠান করেন বুখারি পরিবারের সদস্যরা। সেই প্রথা মেনেই ওই বংশের শৈয়দ ওসামা শাবান বুখারির দস্তরবন্দী করা হয়। জানা যায় ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে এই দস্তরবন্দী অনুষ্ঠানটি অতি পবিত্র রূপে চিহ্নিত হয়। ফারসি এই শব্দটির নির্দিষ্ট একটি অর্থ আছে। দস্তর কথার অর্থ হলো পাগড়ি এবং বন্দী কথার অর্থ হলো বাঁধা। মসজিদের এই বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্তমান ইমাম নিজে হাতে তার পরবর্তী উত্তরাধিকারীর মাথায় শাহী পাগড়ি পড়িয়ে দেন।

Advertisements

জানা যায় ২০১৪ সালে শৈয়দ ওসামা শাবান বুখারিকে শাহী ইমাম (Shahi Imam of Jama Masjid) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবার তার দস্তরবন্দী অনুষ্ঠানের পর তাকে দেশ ও বিদেশের ধর্মীয় রীতি পালনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাকে শাহী ইমাম হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় জ্ঞান শিখতে হবে। তাই এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলেও আপাতত বর্তমান ইমাম মসজিদের সমস্ত দায়ভার সামলাবেন। তবে তিনি কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার উত্তরাধিকারী কার্যকরী ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

Advertisements

আরও পড়ুন ? এই দেশে হাজার হাজার মুসলমানদের বাস, অথচ মসজিদ একটাই, কারণ জানলে অবাক হবেন

ইসলাম ধর্মে ইমাম (Shahi Imam of Jama Masjid) হলেন এমন একজন ব্যাক্তি যার নেতৃত্বে ইসলাম ধর্মের যাবতীয় উপাচার সম্পন্ন হয়। তিনি ইসলামের একজন ধার্মিক নেতা হিসাবে প্রতিদিন নমাজ পাঠ করানোর দায়িত্ব পালন করেন। কোরান এবং হজরত মহম্মদের জীবনকাহিনি সম্পর্কে সকলকে অবগত করেন। মুসলিম নিকাহ এবং অন্তেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন। এছাড়াও ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের যে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এই ইমাম পদের কোনো সরকারি স্বীকৃতি না থাকলেও ওয়াকফ বোর্ড তাদের নিজস্ব আয় থেকে ইমামদের বেতন দিয়ে থাকে। প্রায় ৩০০ মসজিদের ইমামকে বেতন দেয় তারা। পাঁচ বছর আগে ইমামদের বেতন বৃদ্ধি করেছিল দিল্লির ওয়াকফ বোর্ড। সে সময় বেতন ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করা হয়েছিল। তাদের প্রত্যেককে মাসিক বেতন দেওয়া হয় ১৬ হাজার টাকা।

Advertisements