নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে। কখনো চাকরি চুরি, তো আবার কখনো রেশন চুরি কত কিছুই না অভিযোগ রয়েছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগ নয়, এই ধরনের দুর্নীতিতে রীতি মধ্যেই জেল খাটছেন রাজ্যের তাবর তাবর নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা।
চাকরি চুরি, রেশন চুরি কাণ্ডে এখনো পর্যন্ত বাংলার শাসক দল তৃণমূলের যারা যারা জেলবন্দী তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এই সকল চাকরি চুরি, রেশন চুরিকে অতীত করে এবার বাজারে আসছে মিড ডে মিল (Mid day Meal Scam)। কেননা মিড ডে মিল প্রকল্পের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি বারবার মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আসছে। শুভেন্দু অধিকারী বারবার মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন। একই অভিযোগ তুলেছিলেন তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। অন্যদিকে এই সকল অভিযোগ তৃণমূলের তরফ থেকে অস্বীকার করা হলেও কেন্দ্র সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া ইত্যাদি মোদি সরকারের দ্বিতীয় টার্মেই হয়েছে। আর নতুন টার্মে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকেই বলে জানা গেল। কেন্দ্রের তৃতীয়বার মোদি সরকার গঠন হওয়ার পাশাপাশি এবার সুভাষ সরকারের জায়গায় এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত মজুমদার পেয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। আর তিনি দায়িত্ব পেয়ে মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন এবং তার এই পদক্ষেপ চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকারের।
সুকান্ত মজুমদার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হতেই মিড ডে মিলের দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সেই অভিযোগের বিষয়ে তৎপরতার শুরু করে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে তিনি ইতিমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকদের দায়িত্ব দিয়েছেন সিবিআইকে চিঠি দেওয়ার। এর পাশাপাশি এই দুর্নীতির তদন্তের এখন স্ট্যাটাস কি তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতির মতো ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর জেলবন্দী রাজ্য সরকারকে কোণঠাসা করেছে, আর যদি মিড ডে মিল দুর্নীতিতেও সেরকম কারো নাম জড়িয়ে যায় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়বে শাসক দল তৃণমূলের।