নিজস্ব প্রতিবেদন : টোটো (TOTO) হোক অথবা এই ধরনের তিন চাকার যানবাহনের দাপাদাপিতে নাজেহাল রাজ্য। রাজ্যের বিভিন্ন রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কে এই সকল তিন চাকার যানবাহনের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ফলে দিনের পর দিন বাড়ছে যানজট। দিনের পর দিন যানজট বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে দুর্ঘটনা। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই অবৈধ টোটো ঠেকানোর জন্য গত মাসখানেক ধরেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
ইতিমধ্যেই রাজ্য পরিবহন দপ্তর নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্য সড়ক এবং জাতীয় সড়কে টোটো সহ এই ধরনের তিন চাকার যানবাহন যাতায়াত করবে না। এছাড়াও যাতে টোটো চালকদের রুজি রুটিবন্ধ হয়ে না যায় তার জন্য ছয় দফা নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। সেই সকল নির্দেশিকাই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন রুটের কথা, ঠিক সেই রকমই অন্যান্য বেশ কিছু বিকল্পের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সকল নির্দেশিকা জারির পরেও এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে মূলত সরাসরি এই ধরনের যানবাহন বিক্রি করা ডিলারদের উপর। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের এই ধরনের দেড়শ ডিলারকে ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে আগামী দিনে তারা যদি টোটো অথবা ই-রিকশা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া বিক্রি করে থাকেন তাহলে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
রাজ্য পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে যে সকল টোটো অথবা ই-রিকশা চলাচল করে সেই সকল টোটো বা ই-রিক্সার ৯০% এর কোনরকম রেজিস্ট্রেশন নেই। এমনকি এই সকল টোটো বিক্রি সম্পর্কে আরটিও অফিসে জানানোই হয়নি। এরকম লক্ষ লক্ষ টোটো বা ই-রিক্সা রাজ্যজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সকল সবই অবৈধ। এক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যাতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া গাড়ি বিক্রি না হয় তার জন্য ডিলারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগেও পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, পুরোসভা এলাকাগুলিতে কত টোটো রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করতে। সেই তালিকা পাওয়ার পরে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে টোটো চালকদের একটি করে কিউআর কোড অথবা পরিচয়পত্র দেওয়া হতে পারে। এই সকল পরিচয় পত্রে টোটো চালকের নাম, ঠিকানা সহ বিভিন্ন তথ্য থাকবে। পাশাপাশি আগামী দিনেও যদি কেউ বৈধভাবে টোটো নামাতে চান তাহলেও তাকে পৌরসভায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে।