New Telecom Laws: চালু হল নতুন সিমকার্ড আইন! না মানলে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা

Antara Nag

Published on:

The new telecom laws has been introduced across the country: বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল টেলিকম পরিষেবা। সাম্প্রতিক সময়ে যেটা ছাড়া অবসর সময় কাটানো খুবই কষ্টকর সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে টেলিকম পরিষেবায় ইন্টারনেট না থাকলে তো সাধারণ মানুষ খুবই সমস্যায় পড়ে। শুধু তাই না, নেটওয়ার্ক সমস্যা হলে এক প্রান্তের সাথে অন্য প্রান্তের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সাম্প্রতিক এই টেলিকম পরিষেবাতেই জরুরী কিছু নিয়ম পরিবর্তন করে চালু হলো নয়া টেলিকম আইন (New Telecom Laws)। যা বিশেষত প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকগুলিকেই তুলে ধরেছে। নয়া আইনে কি কি নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে? চলুন জেনে নিন….

সূত্রের খবর, প্রতিস্থাপিত হলো ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ আইন (১৮৮৫) ও ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ আইন (১৯৩৩)। সেই জায়গায় সারা দেশ জুড়ে কার্যকর হলো নতুন টেলিকম আইন ২০২৩। যা গত বুধবার থেকে কার্যকরী হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই নতুন আইন। যে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এবার থেকে এই নয়া টেলিকম আইনে (New Telecom Laws) কোন কোন ধারা বলবৎ হবে। সেই ধারাগুলি হল ১.২, ১০ থেকে ৩০, ৪২ থেকে ৪৪, ৪৬, ৪৭. ৫০, ৫৮, ৬১, ৬২। আর কী কী বলা হয়েছে এই নতুন টেলিকম আইনে?

বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নয়া টেলিকম আইনে বলা হয়েছে, কোনো সাধারণ ব্যক্তি সর্বাধিক ৯টির বেশি সিম কার্ড নিজের নামে নথিভুক্ত করাতে পারবে না। তবে উত্তর-পূর্ব ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরে প্রতি নাগরিক এই সিম কার্ডের সংখ্যা ৬টি। যে নিয়ম লঙ্ঘন করলে ব্যক্তিকে দিতে হবে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা। এক্ষেত্রে যদি দ্বিতীয়বার এই নিয়ম না মানে সে ক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক ২ লক্ষ টাকা। শুধু সিমকার্ড নথিভুক্ত নয়, কোনো নাগরিক যদি অন্য নাগরিকের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সিমকার্ড নথিভুক্ত করে সেক্ষেত্রে ব্যক্তির শাস্তি ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ তিন বছরের কারাবাস। অথবা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

আরও পড়ুন 👉 Land Mutation: জমি, বাড়ি কিনতে গিয়ে স্বস্তি! আদালতের নির্দেশে আর লাগবে এই একটি চার্জ

এছাড়া স্প্যাম থেকে রেহাই দিতে নতুন টেলিকম আইনে বলা হয়েছে, কোনো অপারেটর সিমকার্ড ব্যবহারকারীর সম্মতি ছাড়া কোনো বার্তা পাঠাতে পারবে না। এক্ষেত্রে যে অপারেটর এই নিয়ম লংঘন করবে সেই সংশ্লিষ্ট অপারেটরের জরিমানা হতে পারে ২ লক্ষ টাকা। অপরদিকে নয়া আইন অনুযায়ী, কেন্দ্র জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো টেলিকম পরিষেবার যোগাযোগ এবং নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। পাশাপাশি বিদেশি রাষ্ট্রের সাথেও কোনো যুদ্ধ বা যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সরকারের হাতে এই আইন বলবৎ থাকবে।

তবে এখানেই শেষ নয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে টেলিকম পরিষেবা ব্লক নিয়ন্ত্রণ করা এবং মেসেজ ও কলের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে সরকারের হাতে। তবে এই নিয়ম থেকে ছাড় পাবে রাজ্য ও কেন্দ্র অনুমোদনপ্রাপ্ত সাংবাদিকরা। কিন্তু যদি কোনো সাংবাদিক জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী কোনো কিছুর প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেক্ষেত্রে সরকার সেই মেসেজ ও কলের উপর নজরদারি চালাতে পারে। এছাড়াও সরকারের মনে হলে যে কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর টেলিকম কেবল বা টেলিকম টাওয়ার বসাতে পারে (New Telecom Laws)। এক্ষেত্রে জমির মালিক কোনো বিরোধিতা করতে পারবে না। প্রশাসনের প্রয়োজন হলে ব্যক্তিকে তা দিতে বাধ্য হতে হবে।