নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে লকডাউন জারি হওয়ার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে ৫ কেজি করে চাল ও গম দেওয়ার কথা। কিন্তু এমনটা ঘোষণা হলেও রাজ্যের সাধারণ মানুষদের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিনের নানান অভিযোগ রয়েছে। এর পর আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সকল অভিযোগের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। যে কারণে একের পর এক পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। আর এসবের পর বৃহস্পতিবার আরও এক বড় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। নবান্ন থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হলো কখন রেশন দোকান খুলবে, কখন বন্ধ হবে, দিনে কতক্ষণ রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ২৪ শে এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে দিনে দুবার রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে। সকালের দিকে ৮ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুরের দিকে দুপুর ২টো থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত রেশন দোকান খোলা রাখতে হবে। আর এই ২৪ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যে একদিন রেশন দোকান বন্ধ থাকবে যা হলো ২৫শে মে ঈদ-উল-ফিতরের দিন।
রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতারাও বারবার নানান অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়ও রেশন ব্যবস্থায় বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি করেছিলেন। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতির লাগাম টানতে কখনো চালু করেছে টোল ফ্রি নম্বর, কখনো আবার রেশন ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্যাকেটিং করে জিনিসপত্র দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্যাকেটিং করে রেশন দেওয়ার বিষয়ে গত সপ্তাহে একটি নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন। আর এরপর আবার এদিন নয়া নির্দেশিকা।
দিনে দুই বেলা রেশন দোকান খোলা রাখার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার দাবি, এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে রেশন তোলার সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অনেকটা সহজ হবে। দু’বেলা দোকান খোলা থাকলে একসঙ্গে বহু মানুষের ভিড় হবে না।