নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকার কারণে দল হাড়ে হাড়ে তার অনুপস্থিতি টের পাচ্ছে। এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার বীরভূমের তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। যে বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি নতুন কোর কমিটি (Birbhum TMC Core Committee) গঠন করা হলো।
এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূলের তরফ থেকে অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে জায়গা পেয়েছিলেন ৯ জন। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে কোর কমিটি গঠন করা হলো এবং সেই কোর কমিটি থেকে বাদ গেলেন চার জন। যারা বাদ গিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কাজল শেখ এবং শতাব্দী রায়। বাকি দুজন হলেন বিশ্ববিজয় মার্ডি ও অসিত মাল।
কোর কমিটি থেকে কাজল শেখকে বাদ দেওয়ার পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে তার উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌষ মেলার প্রশাসনিক বৈঠকে কাজল শেখের পছন্দ মতো চেয়ার না পেয়ে বৈঠক ছেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তাকে ভর্ৎসনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তুমি কত বড় নেতা হয়ে গিয়েছো। চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়ছো!” এরপরই তাকে বলেন, “আপাতত কোর কমিটিতে তোমাকে রাখা হচ্ছে না পরে দরকার হলে ডেকে নেওয়া হবে।” এছাড়াও কাজল শেখকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি মনে করিয়ে দিয়ে গোটা জেলা দাপিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে শতাব্দী রায়, অসিত মালকে কেন কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হল সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হয়তো তাদের পুনরায় প্রার্থী করার কথা ভাবছে দল আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কোর কমিটি থেকে বাইরে রেখে চাপ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে দলের।
তৃণমূলের তরফ থেকে বীরভূম জেলার জন্য নতুন যে কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে জায়গা পেয়েছেন মোট পাঁচজন। যে পাঁচ জন জায়গা পেয়েছেন তারা হলেন ডঃ আশীষ ব্যানার্জি, চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায় চৌধুরী, অভিজিৎ সিনহা এবং সুদীপ্ত ঘোষ। তবে কাজল শেখকে কোর কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হলেও তাকে দুটি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লোকসভা নির্বাচনের জন্য। তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন নানুর ও কেতুগ্রাম।