নিজস্ব প্রতিবেদন : ভ্রমণপিপাসু মানুষদের কোনভাবেই বাড়িতে মন টেকে না। এই ধরনের মানুষেরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন গন্তব্যের কোন জায়গায়। আবার ভ্রমণপিপাসুদের এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছেন বাঙালিরা। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বেশি ঘুরতে দেখা যায় দীঘা, মন্দারমনির মতো সমুদ্র সৈকতে।
দীঘা, মন্দারমনির মতো সমুদ্র সৈকতের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি থাকলেও বারবার এই সকল জায়গা গিয়ে তা বোরিং প্লেসে পরিণত হয়েছে। যে কারণে অনেকেই রয়েছেন তারা আবার আর এই সমুদ্র সৈকত যেতে পছন্দ করেন না। অনেকেই রয়েছেন যারা এই সকল বোরিং প্লেস দূরে সরিয়ে নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বেড়ান। এবার সেই সকল ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গার খোঁজ নিয়ে আমরা হাজির হয়েছি। যেখানে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
মন ভালো করার মতো যে জায়গাটির কথা বলা হচ্ছে সেই জায়গাটির একদিকে রয়েছে সুবর্ণরেখা আর অন্যদিকে রয়েছে ডুলুং নদী। আর এই দুই নদীর মাঝে ঝাড়গ্রাম টুরিস্ট স্পটের (Jhargram Tourist Spot) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কোদোপাল প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে সবুজ বনানি, কোলাহলহীন ধূ ধূ প্রান্তরের মাঝেই রয়েছে রাত্রিবাস রঙিন কটেজ, যা আপনার মন ভরিয়ে দেবে।
এমনিতে ঝাড়গ্রামে থাকা রাজবাড়ি, কনক দূর্গা মন্দির, ঢাঙিকুসুম ইত্যাদি দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি কোদোপাল আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। এই পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান এবং পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে। এখানে তৈরি করা হয়েছে বিলাস বহুল কটেজ এবং সেই সকল কটেজগুলিতে দুজন করে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এই সকল কটেজের পাশাপাশি রয়েছে ওয়াজ টাওয়ার এবং সেখান থেকে হাতির দেখা মিলতে পারে। এছাড়াও নজর মিনার থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার বন্দোবস্ত রয়েছে।
এই পুরো পর্যটন কেন্দ্রটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অপ্রচলিত শক্তি। সৌর বিদ্যুতের মধ্য দিয়ে রাতের অন্ধকার দূর করা হয় এখানে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানীয় জলের বন্দোবস্ত রয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রে। এই পর্যটন কেন্দ্রের বুকিং আপনি অনলাইন থেকে করতে পারবেন। কলকাতা থেকে এই পর্যটন কেন্দ্রটির দূরত্ব হল ১৭৫ কিলোমিটার। গাড়িতে করেও যাতায়াত করা যেতে পারে। যারা ট্রেনে যাতায়াত করতে চান তাদের ঝাড়গ্রাম স্টেশনে নামতে হবে সেখান থেকে বাস অথবা অন্য কোন গাড়ি চড়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন।