নিজস্ব প্রতিবেদন : ট্রেনের (Train) ওপর ভর করে প্রতিদিনই দেশের প্রায় কোটি কোটি মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করেন। ট্রেনের উপর সাধারণ মানুষের এমন ব্যাপক নির্ভরশীলতার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) গণপরিবহনের মেরুদন্ড বলা হয়। তবে রেল পরিষেবা গণপরিবহনের মেরুদন্ড হলেও এই পরিষেবা নিয়ে অভাব অভিযোগের শেষ নেই।
রেল পরিষেবার বিরুদ্ধে যে সকল অভাব অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি অভাব অভিযোগ হল ট্রেন দেরিতে চলা। ট্রেন লেটে চলা নিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের তরফ থেকে যে সকল অভাব অভিযোগ করা হয়। রেলের তরফ থেকেও সেই সকল অভিযোগ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়। ঠিক সেই রকমই এবার শিয়ালদা স্টেশন (Sealdah Station) থেকে যাতে সঠিক সময়ে ট্রেন যাতায়াত করে তার জন্য বসানো হলো একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তি শুক্রবার থেকে চালু হলো শিয়ালদা স্টেশনে। এই ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ার ফলে ট্রেন দেরিতে চলার সম্ভাবনা কমবে। ট্রেন দেরিতে চলার সম্ভাবনা কমার পাশাপাশি দুর্ঘটনার প্রবণতাও কমবে বলে দাবি করা হচ্ছে। নতুন এই প্রযুক্তি সবসময় পরখ করে দেখবে সিগন্যাল এবং ট্র্যাকের অবস্থা কেমন রয়েছে। আর এসবের ফলে ট্রেন কোথায় রয়েছে এবং কোন অবস্থায় রয়েছে তা সহজেই বুঝতে পারবেন আধিকারিকরা।
নতুন এই প্রযুক্তির ফলে আধিকারিকরা খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোন ট্রেনকে অন্য কোন পথে ঘোরাতে হবে কিনা। এক্ষেত্রে যদি কোন নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে সেই নির্দেশও খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে। ফলে যাত্রীদের হয়রানি অনেকটাই কমবে। শিয়ালদহের কন্ট্রোল অফিসে বসানো এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হলো ট্রেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। আপাতত শিয়ালদাহ রানাঘাট শাখার জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
নতুন এই প্রযুক্তি সবসময় নজরদারি চালানোর কারণে একই লাইনে দুটি ট্রেন আসার সম্ভাবনা কমে যাবে। ট্রেনের সময় নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে সেই অভিযোগ দূর হয়ে সঠিক সময়ে তা প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে যাবে। জরুরী ক্ষেত্রে অনেক দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন রেল আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রেন ছাড়াও ট্র্যাক, সিগন্যাল, লেভেল ক্রসিং সবদিকেই নজর রাখা যাবে। এছাড়াও প্রতিটি স্টেশনে বসানো থাকবে ফিল্ড ইন্টারফেস ইউনিট।