লাল্টু : নতুন ট্রেন উদ্বোধনকে ঘিরে উৎসাহের শেষ নেই। উৎসাহ হবেই না বা কেন! দীর্ঘ কয়েক দশক পর সিউড়ি থেকে শিয়ালদহ একটি ট্রেন পেল বীরভূমের সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এই ট্রেনের উদ্বোধনকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই চরম উৎসাহ দেখা যায় বাসিন্দাদের মধ্যে।
রবিবার নতুন এই ট্রেনটি উদ্বোধন হয় সিউড়ি রেলস্টেশন থেকে। ভার্চুয়ালি এর উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অন্যদিকে ট্রেনের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিউড়িতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ চক্রবর্তী, যিনি জাতীয় লাইব্রেরির অ্যাডভাইজারি সদস্য।
এই ট্রেনটি প্রথম যখন চালু হওয়ার ঘোষণা করা হয় সেই সময় দুবরাজপুর রেল স্টেশনে স্টপেজ ঘোষণা করা হয়নি। দুবরাজপুর স্টেশনের স্টপেজ ঘোষণা না হওয়ায় নতুন ট্রেন পেলেও আক্ষেপ থাকে দুবরাজপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে শেষমেষ দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা রেল মন্ত্রককে স্টপেজ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান এবং ট্রেন উদ্বোধনের দিন থেকেই সেখানে স্টপেজ দেওয়া শুরু হয়।
নতুন এই ট্রেনটিকে ঘিরে সিউড়ির বাসিন্দাদের মধ্যে যতটাই উৎসাহ ছিল ততটাই উৎসাহ দেখা যায় দুবরাজপুরের বাসিন্দাদের মধ্যেও। সেখানে দেখা যায় স্থানীয় দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ফুলের মালা নিয়ে উপস্থিত হন। এরপর সেখানে ট্রেনটি পৌঁছাতেই ট্রেনের চালক এবং অন্যান্য কর্মীদের মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। পুষ্প বৃষ্টিতে বরণ করে নেওয়া হয় ট্রেনটিতে।
উল্লেখ্য নতুন এই ট্রেনটি সিউড়ি থেকে সকাল ৫:২০ মিনিটে ছাড়ার পর দুবরাজপুর রেল স্টেশন পৌঁছাবে সকাল ৫:৩৫ মিনিটে। ৫:৩৬ মিনিটে দুবরাজপুর স্টেশন ছেড়ে রওনা দেবে পরবর্তী স্টেশন পাণ্ডবেশ্বরের জন্য। ফেরার পথে রাত্রি ৯:৪৬ মিনিটে দুবরাজপুর স্টেশনে দাঁড়াবে এবং ৯:৪৭ মিনিটে দুবরাজপুর স্টেশন ছেড়ে সিউড়ির দিকে রওনা দেবে।