Loba Coal Mine: কয়লা শিল্প না দালালি, লোবায় নতুন ঝামেলা

Laltu Mukherjee

Published on:

Advertisements

Loba Coal Mine: একটি সংস্থা বাতিলের পর নতুন একটি সংস্থা দায়িত্ব পেয়েছে লোবা এলাকায় কয়লা উত্তোলন অর্থাৎ কয়লা শিল্পকে বাস্তবায়িত করার। তবে বেসরকারি ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এবার নতুন করে একটি অভিযোগ তুলতে দেখা গেল লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির তরফে। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন করে যে অভিযোগ উঠেছে সেই অভিযোগ হল, সংস্থাটি প্রশাসনিক ভাবে জমির মালিকদের থেকে জমি না কিনে দালাল মারফত জমি কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর এখানেই আপত্তি লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির। তাদের স্পষ্ট দাবি, দালাল মারফত জমি কেনাবেচা কোনভাবেই চলবে না। তারা কখনোই শিল্পবিরোধী নয়, তবে শিল্প করতে গেলে অবশ্যই প্রশাসনিক পর্যায়ে বীরভূম জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক করে উপযুক্ত প্যাকেজ ঘোষণার পরই শিল্প করা যাবে।

Advertisements

এছাড়াও ওই পঞ্চায়েতের আমুড়ি গ্রামে কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থার যে অফিস রয়েছে সেটিও বন্ধ করার কথা বলা হয়। উদাহরণ হিসাবে তাদের তরফ থেকে ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পের কথা জানানো হয়েছে। যে ডেউচা পাঁচামি কয়লা শিল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজের পাশাপাশি অন্যান্য কাজ এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। লোবা (Loba Coal Mine) কৃষি জমি রক্ষা কমিটির দাবি, ডেউচা পাঁচামির মতই প্যাকেজ ঘোষণার পাশাপাশি সরকারি ভাবে জমি অধিগ্রহণ করলে তাদের কোন আপত্তি নেই।

Advertisements

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই বেসরকারি সংস্থার কয়েকজন কর্মী লোবা (Loba Coal Mine) গ্রাম পঞ্চায়েতের বরারি গ্রামে যায় জমি চিহ্নিতকরণ করতে। তাদের দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বরারি গ্রামে তাদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে ওই কর্মীরা পালিয়ে গেলেও পরে তাদের ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা এবং তারপর তাদের আনা হয় কৃষি জমির রক্ষা কমিটির অফিস ঘরে। সেখানেই প্রায় ঘন্টা তিনেক তাদের তালা ঝুলিয়ে ঘর বন্দী আটক করে রাখা হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তারা ছিলেন কিছুটা দূরে। পরে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার ঘটনাস্থলে আসেন এবং গ্রামবাসীদের শান্ত করেন।

Advertisements

আরও পড়ুন:Bara Gopalpur StationBara Gopalpur Station: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, বড় গোপালপুরে পৌঁছাল ট্রেন, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা গোটা এলাকা

এরপর দুবরাজপুরের সিআই শুভাশিস হালদার ও দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন ধর্ণা মঞ্চে আসেন ও কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর কৃষিজমি রক্ষা কমিটির অফিস ঘরের ভেতরে যায় কৃষিজমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক ও পুলিশ। এরপর গ্রামবাসীদের কথা অনুযায়ী নতুন করে একটি মুচলেখা লেখানো হয় এবং তারপরেই আটক হওয়া সংস্থার ওই কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে লোবার (Loba Coal Mine) ধর্ণা মঞ্চের কাছে আটকে রাখা তৎকালীন বেসরকারি কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থার মাটি কাটার জেসিবি মেশিন উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড যুদ্ধ বেধে যায়, চলে গুলিও যেখানে দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

Advertisements