করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্তের সম্ভাবনা লণ্ডন ফেরৎ একাধিক ব্যক্তির, বাড়ছে উদ্বেগ

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ইতিমধ্যেই এই নতুন প্রজাতির করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্রিটেন। গবেষকদের দাবি এই করোনার এই স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ বেশি। যে কারণে নতুন স্ট্রেন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বিশ্ববাসীদের।

Advertisements

Advertisements

ব্রিটেনের ছাড়াও নতুন প্রজাতির এই করোনার সন্ধান পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালি সহ আরও বেশ কিছু দেশে। যে কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশ ব্রিটেনের সাথে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতের অসামরিক বিমান পরিষেবা মন্ত্রকও ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের সাথে সমস্ত রকম বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, লন্ডন ফেরত একাধিক ব্যক্তির শরীরে নতুন প্রজাতির এই করোনার খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার পরেই উদ্বেগ বাড়ছে ভারতীয়দের মধ্যে।

Advertisements

সর্বভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, মুম্বইয়ে লন্ডন ফেরত ১৫ জনের শরীরে তেমন নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে বা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে ওই ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষা নমুনা করতে পাঠানো হয়েছে পুণের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরলোজিতে। সেখানে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই এর সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। আর এর জন্য কিছুটা সময় হলেও অপেক্ষা করতে হবে।

ওই সংবাদমাধ্যম এমন দাবি করেছেন কেন্দ্র সরকারের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে ৫৯০ জন যাত্রী নামেন। যাদের মধ্যে ১৫ জনের শরীরে নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্যদিকে আরও একটি সূত্রের দাবি, লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আর এই করোনা নতুন প্রজাতির করোনা কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। যেসকল যাত্রীদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে তারা সরাসরি হিথরো থেকে দিল্লি, অমৃতসর, কলকাতা, আমেদাবাদ এবং চেন্নাই বিমানবন্দরে নামেন। এদের ক্ষেত্রেও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পরতে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে ভারতবাসীদের মধ্যে। কারণ ভারতের বাসিন্দারা দীর্ঘ কয়েক মাস লকডাউন দেখেছেন এবং সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।

যদিও গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতে এখনো পর্যন্ত নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে এমনটা দাবি করা হলেও বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে।

Advertisements