নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে অক্টোবর মাস থেকে চালু হলো মোটর ভেহিকেল সংক্রান্ত নতুন সংশোধনী আইন। আর এই সংশোধনী আইনে ১৯৮৯ সালের মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের একাধিক দিকের সংশোধন করা হয়েছে। যে কারণে যেমন চালকরা অনেক সুবিধা উঠাতে পারবেন, ঠিক তেমনই আইন ভাঙলে জরিমানা এবং শাস্তির পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরা বহু ক্ষেত্রেই দেখেছি যে রাস্তায় কোনো চালক অথবা যাত্রী দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে স্থানীয়রা সহজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন না। এক্ষেত্রে তাদের মানবিকতা থাকলেও পুলিশি ঝঞ্ঝাটের কারণে তারা অনেক সময় সাহায্য করা থেকে বিরত থাকেন। যে কারণে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তি অনেক সময় সাহায্য না পেয়ে মাঝ রাস্তাতেই প্রাণ হারান। আর এবার এই জায়গায় বড় সংশোধন করা হয়েছে আইনে।
আইন সংশোধন করার পর বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোন ব্যক্তিকে কেউ সাহায্য করলে অথবা হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার পর আর উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ বা ঝক্কির মধ্যে পড়তে হবে না। আইনে এই সংশোধনী আনার ফলে বহু দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষ অনায়াসে সাহায্য পাবেন এবং তাদের প্রাণহানি থেকে রক্ষা করা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর পাশাপাশি নতুন আইনে এটাও বলা হয়েছে যে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোন ব্যক্তিকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে এলে সেই ব্যক্তিকে ‘Good Samaritan’ বলে গণ্য করা হবে। আর এই গণ্যের ফলে পুলিশ ওই ব্যক্তির থেকে কোনরকম ব্যক্তিগত তথ্য নিতে পারবে না। উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে তাঁর নাম, ঠিকানা ইত্যাদি জানার জন্য কোনরকম চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। যে কারণে উদ্ধারকারী ব্যক্তিকে কোন রকম ভাবেই পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হবে না।
এমনকি নতুন আইনে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যে, পুলিশকে উদ্ধারকারী ব্যক্তির সাথে সম্মানজনক ভাবে কথা বলতে হবে। আর এই নির্দেশিকা সম্পর্কে খুব শীঘ্র সরকারের তরফ থেকে প্রচারের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের বাইরে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।