Hunter Killer: চালক বিহীন বিমানেই শত্রুপক্ষ কুপোকাত, আমেরিকার হান্টার কিলার কাজ করবে ভারতেও। প্রতিনিয়ত একটু একটু করে আরো বেশি উন্নত হচ্ছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। বাড়ছে শত্রু জয়ের ক্ষমতা। আমেরিকা থেকে একটি নতুন প্রযুক্তি বা বলা ভালো একটি নতুন যুদ্ধবিমান ভারতে নিয়ে আসার ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। শত্রুর আকাশ সীমার মধ্যে ঢুকে শত্রুকে ধ্বংস করতে পারবে এই যুদ্ধবিমান। শত্রুপক্ষ চাইলেও কোন ক্ষতি করতে পারবেনা ভারতের। কারণ বিমানটিতে থাকবে না কোন চালক। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন চালক বিহীন বিমানই যাবে শত্রুঘাটি ধ্বংস করতে।
আমেরিকার অত্যন্ত প্রসিদ্ধ চালকবিহীন ড্রোন বিমান হান্টার কিলার (Hunter Killer)। এই ড্রোন বিমানগুলোকে ভারতে নিয়ে আসতে চলেছে ভারত সরকার। ৩১ টি এমকিউ নাইন-বি ড্রোন বিমান আমেরিকার কাছ থেকে কিনতে চলেছে ভারত সরকার। নতুন করে সামরিক চুক্তি সংঘটিত হতে চলেছে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে আরো মজবুত করে তুলতে সহায়তা করবে বিমানগুলি। সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক এই ড্রোন বিমানগুলিকে খুব শীঘ্রই ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে সরকার। আশা করা যায় নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই তা সম্ভব হবে।
ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ বর্তমানে ভারতের শত্রু দেশে পরিণত হয়েছে। আর এই সমস্ত দেশগুলির হাত থেকে নিজের দেশকে বাঁচাতে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। শত্রু দেশগুলি শুধুমাত্র ভারতের সাথে শত্রুতা করি থেমে থাকেনি। একে অপরকে সাহায্য করে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে শত্রু দেশগুলোকে চাপে ফেলার উদ্দেশ্যেই হান্টার কিলার (Hunter Killer) নামক ড্রোন বিমানগুলি কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত সরকার। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। চীন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে সামরিক বাহিনী মজবুত করতে। আর ভারত চাইছে চীন ও পাকিস্তান উভয়কে একসাথে ভয় দেখাতে।
আরো পড়ুন: ভারতীয় সেনার হাতে এলো দেশীয় ‘কামিকাজে’ ড্রোন, ঘুম উড়বে চীন-পাকিস্তানের
চীন পাকিস্তানকে কিছু কাই হং-৪ এবং উইং লুং‐২ সরবরাহ করেছে। উদ্দেশ্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকে আরো বেশি মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলা। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের কাছে ৭ টি কাই হং-৪ ড্রোন রয়েছে। তারপরেও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে আরো ১৬ টি ড্রোন চাওয়া হয়েছে বেনজিং এর কাছে। আর ঠিক এই কারণেই একসাথে ৩১ টি চালক বিহীন হান্টার কিলার (Hunter Killer) কিনতে চাইছে ভারত সরকার। পাকিস্তান ও চীন উভয়কে একসাথে বোঝাতে চাইছে ভারতের সামরিক বাহিনী আগেও দুর্বল ছিল না, এখনো দুর্বল নেই, ভবিষ্যতেও দুর্বল হবে না।
চীনের তৈরি ড্রোন বিমানের চেয়ে আমেরিকার হান্টার কিলার (Hunter Killer) অনেক বেশি শক্তিশালী। আর তাই চীনকে বা পাকিস্তানকে ভয় দেখানোর জন্য হান্টার কিলার সংগ্রহ করাটাই একটা বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। চালক বিহীন এই ড্রোন বিমানগুলি প্রায় ৪০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকেও অনায়াসে নজরদারি চালাতে পারে। প্রায় একটানা ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আকাশে ওড়ার বা নজরদারি করার ক্ষমতা রাখে এই হান্টার কিলার। এই বিমানগুলিতে হেলফায়ার নামক একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা রয়েছে। এটি যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে একদম নির্ভুলভাবে নিশানা লাগাতে সক্ষম। আমেরিকার পক্ষ থেকে ৩১ টি হান্টার কিলারের (Hunter Killer) জন্য ভারতের কাছ থেকে ৩.৯ বিলিয়ন ডলার দাবি করা হয়েছে। ভারতীয় মুদ্রায় যার দর দাঁড়ায় ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি।