NH 10: টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, অন্য পথে কালিম্পং-সিকিম যেতে হবে পর্যটকদের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : আগেও বন্ধ হয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH 10), আর এবারও বন্ধ হতে চলেছে ওই একই জাতীয় সড়ক। এর আগে এই জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়েছিল মূলত পাহাড় থেকে একের পর এক বোল্ডার পড়ার কারণে। এবার ওই জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হচ্ছে মূলত ধসের মাটি ও পাথর সরিয়ে মেরামতির কাজ চালানোর জন্য। টানা তিন দিন বন্ধ থাকবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং সেই সময় পর্যটকদের ঘুরপথে যেতে হবে কালিম্পং, দার্জিলিং, সিকিম।

Advertisements

১০ নম্বর জাতীয় সড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা অর্থাৎ তিন দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে কালিম্পং প্রশাসনের তরফ থেকে। প্রশাসনের তরফ থেকে শুক্রবার এমন ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই কালিম্পং প্রশাসনের তরফ থেকে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মেরামতির কাজ চালানোর সময় বিভিন্ন যানবাহনের জন্য বিভিন্ন রুট বেছে নেওয়া হয়েছে।

Advertisements

প্রশাসনের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৬ মে সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত নির্ধারিত ওই রাস্তায় সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আর এই নির্ধারিত সময় শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং-দার্জিলিং এবং সিকিমের মধ্যে যানবাহন যাতায়াত করতে হবে সেবক, লাভা, গরুবাথান, আলগাড়া হয়ে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Weather Update: তুমুল ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা! মৎস্যজীবীদের টানা দু’দিন সমুদ্রে যেতে বারণ করল হাওয়া অফিস

ছোট যে সকল যানবাহন যাতায়াত করবে সেগুলি রংপো থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাওয়ার সময় মুনসোং ১৭ মাইল আলগাড়া-লাভা-গোরুবাথান হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়াও কালিম্পংয়ের চিতর থেকে আলগাডা-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে একই পথ ধরে কালিম্পং আসতে পারবে। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং কালিম্পং থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াত করার ক্ষেত্রে ওই একই রূপে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়াও আরও বিকল্প কিছু রুটের উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে বৃষ্টি এবং পাহাড় থেকে ধস নেমে পড়ার কারণে একাধিকবার এই জাতীয় সড়কের নির্দিষ্ট এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে একাধিকবার এই জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ফের তা খোলা হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ার কারণে তা মেরামতি এবং পুনরায় পাহাড় কেটে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আর এই কাজ চলাকালীন ভরা মরশুমে পর্যটকদের কিছুটা হলেও ভোগান্তির শিকার হতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisements