নিজস্ব প্রতিবেদন : জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ে ইত্যাদির ওপর দিয়ে যান চলাচলের জন্য দিতে হয় নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল ট্যাক্স (Toll Tax)। টোল প্লাজাগুলিতে যাতে কম সময়ে টোল সংগ্রহ করা যায় তার জন্য চালু করা হয়েছে FASTag। ইতিমধ্যেই দেশের অধিকাংশ যানবাহনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে ফ্যাসট্যাগ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা হয়নি, যাদের এমন FASTag নেই তাদের টোল প্লাজায় ডবল টোল দিতে হয়।
এক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে আবার FASTag নিয়ে নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। যদি কেউ সেই নির্দেশ না মানেন তাহলে তার ফ্যাসট্যাগ ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যাবে। ফ্যাসট্যাগের এই নিয়ম (FASTag Rules) না জানা থাকলে যদি আপনার FASTag ব্ল্যাক লিস্টেড হয়ে যায়, আর আপনি কোন টোল প্লাজায় টোল দিতে ঢুকে দেখেন এমন ঘটনা তাহলে কিন্তু আপনাকে নগদে টোল দিতে হলে ডবল টোল দিতে হবে।
FASTag এমন একটি ব্যবস্থা যেটির মাধ্যমে গাড়ির সামনে একটি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং যখনই ওই গাড়িটি কোন টোল প্লাজায় প্রবেশ করেন তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা স্ক্যান হয়ে যায় ও নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল FASTag অ্যাকাউন্টে জমা থাকা টাকা টাকা থেকে কেটে নেয়। এতে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে অনেক সময় বেঁচে যায়। কিন্তু এবার অনেক গ্রাহকের FASTag অ্যাকাউন্ট ব্ল্যাকলিস্টেড হতে চলেছে। কাদের FASTag অ্যাকাউন্ট ব্ল্যাকলিস্টেড হতে চলেছে?
আরও পড়ুন ? Toll Plaza: লাইনে দাঁড়ানোর দিন শেষ! টোল প্লাজায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে সরকার
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (NHAI) সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনেকেই রয়েছেন যারা এখনো পর্যন্ত তাদের FASTag অ্যাকাউন্টে সঙ্গে আবশ্যিকভাবে KYC করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা করেননি। এক্ষেত্রে যে সকল গ্রাহকরা এখনো পর্যন্ত কেওয়াইসি করেননি তাদের অ্যাকাউন্ট ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যাবে। সরকারের তরফ থেকে কেওয়াইসি করার জন্য শেষ সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি।
FASTag ব্যবহারকারীদের ‘ওয়ান ভেইকেল ওয়ান FASTag’ নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনেকেই রয়েছেন যারা একটি FASTag একাধিক গাড়িতে ব্যবহার করে থাকেন, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা একাধিক FASTag এটা ওটা গাড়ির সঙ্গে ব্যবহার করেন। এই ধরনের ঘটনা ঠেকানোর জন্য এমন কেওয়াইসির মাধ্যমে একটি গাড়িতে একটিই FASTag লিঙ্ক করা হবে। যার জন্যই কেওয়াইসি অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি করছে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।