নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন বেড়ে চলেছে পেট্রোল ডিজেল সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম। এই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি দেশজুড়ে যানবাহনের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকায় পরিবেশ দূষণও বাড়ছে মাত্রাতিরিক্তভাবে। এমন পরিস্থিতিতে এমন এক ধরনের ইঞ্জিন তৈরীর জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা পাকা করেছে, যেসকল ইঞ্জিনগুলি চলবে পেট্রোল ও ইথানলের মিশ্রণে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এই পরিকল্পনা দীর্ঘদিন আগেই নেওয়া হয়েছিল। সেই পরিকল্পনা খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হতে চলেছে। পেট্রোল ও ইথানলের মিশ্রণে যে ইঞ্জিন আনার কথা বলা হচ্ছে তাকে বলা হয় ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন। এই ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন যুক্ত যানবাহন আনার জন্য কেন্দ্র প্রতিটি ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রী নীতিন গড়করি খুব শীঘ্র এই বিষয়ে ঘোষণাও করবেন।
এই ধরনের ইঞ্জিন যুক্ত যানবাহন পেট্রোল দিয়ে চালানোর পাশাপাশি ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল দিয়েও চালানোর অপশন থাকবে। কারণ আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে জ্বালানিতে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের সময়সীমা ধার্য করে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করার জন্য ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র।
কিন্তু এই ইথানল মিশ্রিত জ্বালানি ব্যবহার করলে সুবিধা কি হবে ব্যবহারকারী অথবা অন্যান্যদের? এই বিষয়ে জানা গিয়েছে, ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলে অক্সিজেনের যোগান বেশি থাকে। ফলে জ্বালানির সম্পূর্ণ দহন সম্ভব হয়। লাভ হিসাবে রয়েছে দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমবে এবং এই ইথানল মিশ্রিত পেট্রোলের দাম কমবে কিছুটা হলেও।
কেন্দ্রীয় নীতিন গড়করি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “যাতে সব গাড়ি নির্মাতা ফ্লেক্স ইঞ্জিন দিয়ে চালিত গাড়ি উত্পাদন শুরু করে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই আমি এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করবো।” এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ইন্ডিয়ান প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে তাঁর কথা হয়ে গেছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।