Parking App: পার্কিং ব্যবস্থায় আসছে আমূল পরিবর্তন, টাকা বেশি খসলেও নতুন বন্দোবস্ত করছে এনকেডিএ

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

কলকাতা : যানবাহন নিয়ে যারাই যাতায়াত করেন তাদেরই বিভিন্ন জায়গায় কাজের কারণে যানবাহন পার্কিং করতে হয়। তবে পার্কিং করার ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে শুরু করে নিউটাউন সর্বত্রই সাধারণ মানুষদের নানান অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ এতটাই গুরুতর যে তা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াতে দেখা গিয়েছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এনকেডিএ পার্কিং ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে।

Advertisements

নিউটাউন এলাকায় এক সময় যানবাহন পার্কিং করার ক্ষেত্রে কোনো রকম পার্কিং ফি নেওয়া হতো না। যদিও পরবর্তীতে বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলিতে পার্কিং ফি নেওয়া শুরু হয়। বিশেষ করে বাজার, ঘাট, শপিংমল সহ বেশ কিছু ভিড়ভাট্টা জায়গায় পার্কিং ফি চালু করা হয়। পরবর্তীতে আবার সেই পার্কিং ফি দ্বিগুণ করে দেওয়ার কারণে সাধারণ মানুষদের মধ্যে বেশি টাকা খসার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ জন্মাতে শুরু করে।

Advertisements

পার্কিং ফি নিয়ে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষদের ক্ষোভ বৃদ্ধি পেলে শেষমেষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন এবং তার হস্তক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে পার্কিং ফি কমানোর পাশাপাশি প্রথম ৩০ মিনিট কোন রকম পার্কিং ফি ছাড়াই যানবাহন রাখার বন্দোবস্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এসবের পাশাপাশি আরও একটি বড় অভিযোগ দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষদের থেকে।

Advertisements

আরও পড়ুন : Sandip Ghosh: ‘যেমন ছেলে, তেমন মা’, সন্দীপ ঘোষ ও তার মায়ের ব্যবহার নিয়ে এবার সরব প্রাক্তন প্রতিবেশীরা

পার্কিং নিয়ে অন্যতম বড় অভিযোগ হল পার্কিং স্টাফদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনেক পার্কিং স্টাফ রয়েছে যারা গাড়িচালক বা গাড়ি মালিকদের থেকে পার্কিং ফি নিলেও তা পুরসভাকে জমা দেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার স্বচ্ছতা আনতে এনকেডিএ অ্যাপ নির্ভর পার্কিং ব্যবস্থা আনতে চলেছে। এর জন্য একটি অ্যাপ (Parking App) লঞ্চ করতে চলেছে তারা। যে অ্যাপের কাজ অনেক। যে অ্যাপের কারণে সব দিক দিয়েই আসবে স্বচ্ছতা।

নতুন এই অ্যাপের পরিপ্রেক্ষিতে যেমন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোথায় কোন পার্কিংয়ে কোন গাড়ি ঢুকছে এবং কখন বেরোচ্ছে সবকিছু ট্র্যাক করতে পারবে, ঠিক সেই রকমই আবার কোন পার্কিং স্টাফ যদি কোন চালক অথবা গাড়ির মালিকের থেকে বেশি ফি নেওয়ার ধান্দা করেন তাও বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা এবার ওই অ্যাপ লঞ্চ হওয়ার পর সমস্ত কিছু রেকর্ড থাকবে অ্যাপের মধ্যে। এই অ্যাপের ফলে একদিকে যেমন পৌরসভার রোজগার ফাঁকি যাবে না, ঠিক সেই রকমই আবার সাধারণ মানুষরাও উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements