নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আর লকডাউন দেশের বহু মানুষের জীবন-জীবিকার ধরনকে বদলে দিয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন, কেউ কেউ আবার নিজেদের পেশায় বদল এনেছেন। এমত অবস্থায় আর্থিক সংকটে ভুগছেন দেশের কোটি কোটি মানুষের পাশাপাশি অজস্র শিল্প সংস্থা। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করার ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ছেন গ্রাহকরা সহ শিল্প সংস্থাগুলিও।
আর এই পরিস্থিতিতে দেশের শীর্ষ আদালত তাঁর নির্দেশে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছেন ওই সকল ঋণের কিস্তি (EMI) দিতে না পারা গ্রাহক এবং শিল্প সংস্থাগুলিকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তি গ্রাহক অথবা কোন শিল্প সংস্থা জমা করতে না পারলে ব্যাঙ্ক ওই ব্যক্তি অথবা ওই সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নন পারফর্মিং আর্ট হিসেবে ঘোষণা করতে পারবেন না।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফ থেকে দেশের ঋণগ্রহণকারী গ্রাহক এবং সংস্থাগুলিকে ছয় মাসের মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এই নির্ধারিত সময়ে কোন ব্যক্তি অথবা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি ঋণের কিস্তি দিতে না পারলেও ঋণখেলাপির তকমা থেকে মুক্তি পায়। তবে এই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ঘোষিত মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ শেষ হয় আগস্ট মাসের ৩১ তারিখ।
আর এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ব্যাঙ্কগুলি পূর্বের পদ্ধতিতে ঋণের কিস্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করে। এরপরেই ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়। এরপর সর্বোচ্চ আদালতের সওয়াল-জবাবের পর আদালতে তরফ থেকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ দেওয়া হয় যে, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যে সকল অ্যাকাউন্টগুলিকে ঋণখেলাপির তকমা দেওয়া হয়নি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তার তকমা অপরিবর্তিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অশোক ভূষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহর বেঞ্চ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি শোনেন এবং এর পরবর্তী দিনক্ষণ রয়েছে সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখ।