স্বস্তির খবর, দেশের ৬১ জেলায় ১৪ দিনে খোঁজ মেলেনি করোনা রোগীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ নিয়ে প্রতিনিয়ত চিন্তার মুখে দেশের কোটি কোটি জনতা। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে বন্ধ কাজকর্ম, নেই রোজগার, তার পাশাপাশি দুশ্চিন্তা। কি হবে আগামীতে? তবে এই সকল দুশ্চিন্তার মাঝেই সুখবর দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একদিকে যেমন দেশে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা বাড়ছে ঠিক তখনই দেশের অজস্র জায়গা এই করোনা থেকে মুক্ত হচ্ছে। মুক্ত হওয়ার মূলে রয়েছে যথোপযুক্তভাবে লকডাউনকে মেনে চলা, যথোপযুক্তভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নির্দেশে মেনে চলা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা ১৯৯৮৪। গোটা দেশে মারা গিয়েছেন ৬৪০ জন। তবে সুস্থ হয়েও উঠেছেন ৩৮৭০ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হওয়ার শতাংশ ১৮-র কাছাকাছি। তবে এই সংক্রামিতদের সংখ্যা বাড়ার পিছনে রয়েছে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো। যে কারণেই সামনে আসছে অনেক কেস।

আর এরকম অবস্থায় যখন দেশের মানুষ বিচলিত তখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব আগরওয়াল একটি সুখবর দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৪ দিনে ভারতবর্ষের ২৩ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬১ টি জেলা থেকে কোন রকম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে এই ৬১ টি জেলা কোন কোন জেলা তা জানা না গেলেও এই জেলাগুলিতে আগে করোনা সংক্রমণের রোগী পাওয়া গেলেও বর্তমানে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। আর এই খবর দেশের কাছে স্বস্তির খবর হলেও এখন কোন রকম অসভ্যতা অবলম্বন করা দেশের পক্ষে হানিকারক হতে পারে।

দেশের ক্ষেত্রে যেমন ৬১ টি জেলা থেকে কোনরকম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি গত ১৪ দিনে ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের ৯ জেলা থেকেও গত ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণের খোঁজ মেলেনি। এমনকি মালদা জেলায় মোট ৭৪ জনের টেস্ট করা হলেও সকলেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তবে এখনো রাজ্যের সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪০০০ জন মানুষ। তবে এই ৯ জেলা কোন কোন জেলা তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে এখনই আনন্দ পাওয়ারও কিছু নেই। যে কারণে মুখ্যসচিব পরামর্শ দেন, দয়া করে বাড়ি থেকে বের হবেন না, একা পুলিশ কিছু করতে পারবে না। আপনাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না।