হিমাদ্রি মণ্ডল : পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার বীরভূম সফরে এসে হাজির বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাত সকালে হোটেল থেকে বেরিয়ে খেজুর রস খেয়ে প্রাতঃভ্রমণে সিউড়ির বিভিন্ন এলাকায়। জনসংযোগ বাড়াতে স্থানীয়দের সাথে কথা বলার পর সরাসরি সাংবাদিকদের মুখোমুখি। আর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই রাজ্য সরকার, বাম কংগ্রেস এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনকে একহাত নিলেন তিনি।
প্রথমেই তিনি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের গড় ছিল! কিন্তু এখন কোথায়! একটা এমপি সিট জিততে পারল না। একজন ল্যাংড়া, আর একজন অন্ধ, একে অন্যের কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটছে। রাস্তা পার হচ্ছে। আজকের সিপিআইএম, কংগ্রেসের অবস্থা।”
আর এরপরই তৃণমূলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “তৃণমূল এখানে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। যদি গড় থাকতো, ক্ষমতা থাকতো তাহলে ১১৮ টা মিউনিসিপালিটি আর কর্পোরেশনে ইলেকশন করে দিতো। জানে বিজেপি জিতবে, কোন গড় নাই। আর যদি গড় থাকে তাহলে আমরা ভেঙে দেবো।”
পরবর্তীতে তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ইলেকশনের আগে অনেকেই অনেক কথা বলে। আমি অনুব্রত বাবুকে বলে দিচ্ছি, এখানকার মানুষ বিজেপিকে চায় কিনা তার প্রমাণ দিয়ে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। এই সিউড়িতে একুশটা ওয়ার্ড আছে তার মধ্যে আছে তারমধ্যে আমরা ১৮ টাতে লিড নিয়েছি। উনার ওয়ার্ডে আমরা লিড নিয়েছি। দম থাকলে পরবর্তী ইলেকশনে জিতে দেখাক। বীরভূমে এসে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, ওদের খাতা খোলাতেও সমস্যা করে দেব। তৃণমূল সরকার এখন জেলগুলোকে সংস্কার করছে যাতে ওদের সমস্যা না হয়। একজন এমপি ভুবনেশ্বর ঘুরে এসেছেন, উনার কাছ থেকে অভিজ্ঞতা জেনে নিন। সেই অভিজ্ঞতাটা বেশিরভাগ নেতার হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “উনি যদি উন্নয়ন করতেন তাহলে আজকে উনাকে দৌঁড়ে গিয়ে খাটিয়ায় বসতে হতো না। বাঁকুড়ায় তিন দিন থাকতে হতো না। উনি কি উন্নয়ন করেছেন লোক ওনাকে বুঝিয়ে দেবেন। দুবার হারিয়েছে, পঞ্চায়েতে আর পার্লামেন্টে। লাজ লজ্জা থাকলে জঙ্গলমহলে যেন গিয়ে মিথ্যা কথা না বলেন। পরের বার যেন গঙ্গার পাশে কোন সিট আশা করেন।”