নিজস্ব প্রতিবেদন : জিএসটি কাউন্সিলিংয়ের মিটিংয়ের পর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন, ১৮ জুলাই থেকে নতুন জিএসটি হার প্রযোজ্য হবে। ঘোষণা মত নির্দিষ্ট দিন থেকেই তা চালু হয়ে গিয়েছে। তবে এই নতুন জিএসটি হার চালু হওয়ার পর থেকেই বাজারে নানান বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন কোন কোন জিনিসের উপর জিএসটি নেই।
এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ করা সেই তালিকায় থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যদি লুস অর্থাৎ প্যাকেট ছাড়া হয়ে থাকে তাহলে তার ওপর কোনো রকম জিএসটি লাগু হবে না অর্থাৎ গ্রাহকদের সেই সকল জিনিসপত্র কেনার জন্য কোন জিএসটি দিতে হবে না। এই তালিকায় রয়েছে অধিকাংশই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সেই তালিকায় রয়েছে ডাল, গম, বাজরা, চাল, সুজি। এমনকি দই, লস্যিও। আসলে এই সকল খাবারের উপর জিএসটি বসানো নিয়ে ভুল বার্তা পৌঁছানোর কারণেই এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, জিএসটির কেবলমাত্র সেই সকল দ্রব্যের জন্য যেগুলি প্যাক করা ও লেবেল যুক্ত অর্থাৎ ব্র্যান্ডেড। সেই সকল জিনিসপত্রের উপরেই ৫ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, “সম্প্রতি GST কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠকে নেওয়া ডাল, আটার মতো নির্দিষ্ট খাদ্য সামগ্রীর উপর চাপানো GST সংক্রান্ত বিষয় পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করেছে। তবে অনেক ভুল ধারণা মানুষের মনে রয়েছে। নীচে বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করা হল।”
Recently, the GST Council in its 47th meeting recommended to reconsider the approach for imposition of GST on specified food items like pulses, cereals, flour, etc. There have been a lot of misconceptions about this that have been spread. Here is a thread to lay the facts: (1/14)
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) July 19, 2022
এর পাশাপাশি এই সিদ্ধান্তের পর অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রথম এইভাবে খাদ্যদ্রব্যের উপর কর বসাচ্ছে সরকার? সরকারের তরফ থেকে এই প্রথম খাদ্যদ্রব্যের উপর কর বসানো হচ্ছে এমনটা নয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, “এই প্রথম কি খাদ্যদ্রব্যে এমন কর বসানো হচ্ছে? মোটেই না। রাজ্য সরকারগুলি প্রাক-জিএসটি সময়কাল থেকেই খাদ্যশস্য থেকে প্রচুর রাজস্ব সংগ্রহ করছে। পঞ্জাব একাই খাদ্যশস্য থেকে পারচেস্ ট্যাক্স হিসেবে ২০০০ কোটি টাকার বেশি সংগ্রহ করেছে। উত্তরপ্রদেশ সেখানে তুলেছে ৭০০ কোটি টাকা।”