No Lookout Notice can be issued against any loan defaulter without proper cause: ব্যাংক থেকে লোন নিলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করতে হয়। তা না হলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে ব্যাংক। সম্প্রতি এমন ১ টি ঘটনা সামনে এসেছে। ১ ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুক আউট কর্নারের অভিযোগ এনেছিল একটি ব্যাংক। কিন্তু সেই কিস্তির রায় দিতে গিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট বলেন লুকআউট কর্নারের অভিযোগ আনার অধিকার নেই কোন ব্যাংকের। যতক্ষণ না কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে, ততক্ষণ কারো বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশের (Lookout Notice) অভিযোগ আনা যায় না। শুধুমাত্র লোন আদায়ের জন্য এই অভিযোগ করা একেবারেই অবৈধ।
কোন ব্যক্তি যদি ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়ে অন্য কোথাও পাচার করে দেন বা লোন নেবার পর ব্যাংকের সাথে প্রতারণা করেন, তখন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ (Lookout Notice) জারি করা যায়। কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি এই ধরনের কোন অভিযোগ ওঠে, তাহলে তিনি তার বর্তমান অবস্থান ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে পারবেন না। বিশেষ করে বিদেশ ভ্রমণে বাধা সৃষ্টি করে লুক আউট নোটিশ। যার তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা যায় না। যতক্ষণ না কোন ব্যক্তি প্রতারক প্রমাণিত হচ্ছেন ততক্ষণ এই নোটিশের কোন কাজ নেই।
সম্প্রতি একটি ঘটনা উঠে এসেছে। এক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রাক্তন ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন। সেই কোম্পানি ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে ৬৯ কোটি টাকা লোন নিয়েছিল সে সময়। এই ব্যক্তি ওই কোম্পানির গ্যারান্টার হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেছিলেন এরপর সংস্থা সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ করতে পারেনি ফলে প্রাক্তন ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে সবথেকে কঠোর পদক্ষেপ হলো লুকআউট নোটিশ (Lookout Notice) জারি করা।
আরও পড়ুন ? New Loan Rules: ঋণগ্রহীতাদের জন্য খারাপ খবর! কঠিন হচ্ছে লোন নেওয়া, কড়া নিময় জারি RBI-এর
কিন্তু তদন্তে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অপরাধমূলক কাহিনীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কিন্তু ব্যাংকের পক্ষ থেকে জারি করা লুক আউট নোটিশের (Lookout Notice) প্রভাবে দেশের বাইরে ঘুরতে যেতে পারছেন না ওই ব্যক্তি। এখানে আপত্তি জানান হাইকোর্ট। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি যদি কোন রকম প্রতারণার কাজ না করে থাকে, তবে তার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা একেবারে বেআইনি। তার মেটানোর জন্য এই পদ্ধতিতে ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তির উপর চাপ সৃষ্টি করা একেবারে অন্যায় জনক কাজ বলে মনে করছে দিল্লি হাইকোর্ট।
ওই প্রাক্তন ডিরেক্টর কোম্পানির কাজ ছেড়ে নতুন কোম্পানিতে কাজের জন্য যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় আগের কোম্পানির দায়ভার রয়ে গেছে তার কাঁধে। কোন ব্যক্তি ঋণ নেবার পর তা পরিশোধ করতে নির্দিষ্ট সময় সীমার বেশি সময় নিতেই পারে কিন্তু তা বলে লুক আউট নোটিশ (Lookout Notice) জারি করে তার ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই ব্যাংকের। এমনই নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি ঋণের গ্যারেন্টার হবার কারণে ফেঁসে গেছে ওই ব্যক্তি। এই মুহূর্তে এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছে হাইকোর্ট।