Online Property Registration: জমি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এখন আর পোহাতে হবেনা কোনো ঝামেলা, অনলাইনেই মিটে যাবে সব কাজ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Online Property Registration: জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সরকার নানারকম অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছে। জমি কিংবা বাড়ি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের জন্য অনলাইনে আবেদন প্রথম শুরু হয়েছিল করোনা পরিস্থিতিতে। প্রশাসনিক মহলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, আইনি জটিলতা এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এই ব্যবস্থাটিকে কার্যকর করা যায়নি। জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে জালিয়াতি এবং প্রতারণা অহরহ হয়ে থাকে, এইসব আটকানোর জন্যই সরকার নানারকম ব্যবস্থা চালু করেছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয় একাধিক রাজ্যে এমন নিয়ম চালু হয়েছে এবং এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কেও জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের চাপে অবশেষে ১১৬ বছরের পুরনো রেজিস্ট্রেশন আইনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আগের নিয়মে পরিবর্তন এনেছে।

Advertisements

১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রেশন এক অনুসারে বর্তমান সময়ে জমি কিংবা বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে। দেশে ভারতীয় দন্ডবিধি বা ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের (আইপিসি) পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) কার্যকর করেছে কেন্দ্র। রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট পরিবর্তনের জন্য বারবার কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে কিন্তু সেরকম সুব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে পুরনো পদ্ধতি বাতিল করে গ্রহণ করা হচ্ছে নতুন পদ্ধতি (Online Property Registration)।

Advertisements

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে কেন্দ্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে বাংলা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো বেশ কয়েকটি রাজ্য। এরপরেই মোদি সরকার এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। নতুন আইন অনুসারে, সংশোধনী আনার বদলে সময়োপযোগী বিষয়গুলিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে মোদি সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলোচনা শুরু করেছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে এই বিষয়টি নিয়ে।

Advertisements

আরো পড়ুন: একটি ফোন নম্বর, দিঘা-মন্দরমনিতে অনেক কিছু সাহায্য করতে পারে মহিলাদের

১৯০৮ সাল এবং ২০২৪ সালে নিয়মের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। আগে এই ব্যবস্থার সেরকম পরিবর্তন না ঘটলেও বর্তমানে পরিবর্তন ঘটা অত্যন্ত জরুরী। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার না হলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা একেবারে অসম্ভব। রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি যত বেশি অনলাইন(Online Property Registration) নির্ভর করা যাবে, জালিয়াতি ততই কমবে এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। প্রতারণা এবং জালিয়াতির জন্য ভোগান্তি সহ্য করতে হয় সাধারণ মানুষকে। কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে, নতুন আইন বা আইনে ঢালাও পরিবর্তন না আনলে সংশোধনীর ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির হাত বাঁধা থাকছে।

রেজিস্ট্রেশন এর সমস্ত দায়িত্ব গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অধীনে থাকা ডিপার্টমেন্ট অব ল্যান্ড রিসোর্সের। আইন নতুনভাবে চালু হলে বদলে যাবে অনেক কিছুই যেমন সাব-রেজিস্ট্রারদের ক্ষমতা অনেকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। নতুন আইনের বিষয়ে এক আধিকারিক জানিয়েছে, অনেক সময় অভিযোগ এসেছে জমির মালিকের নাম ব্যবহার করে অন্য আরেক ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশন করেছে। যদি নতুন ভাবে আইন তৈরি হয় এবং অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা হয় তাহলে এইসব জালিয়াতির আর কোন জায়গা থাকবে না। বর্তমানে জালিয়াতির নানা উপায় বেরিয়েছে। প্রতারণা মোকাবিলা করতে প্রয়োজন ‘ফুল প্রুফ’ ব্যবস্থা। বর্তমানে সবার আগে প্রয়োজন ইংরেজ আমলের পুরনো আইনি ব্যবস্থার পরিবর্তন (Online Property Registration) ।

Advertisements