নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই আক্রান্তের সংখ্যার বাড়বাড়ন্ত সরকারি অফিসে হাজিরা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিলো নবান্ন। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তরের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেভাবে প্রতিনিয়ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে করোনা ঠেকাতে ফের সরকারি দপ্তরগুলিতে ৫০ শতাংশের বেশি যাতে হাজিরা না হয় প্রশাসনিক স্তরে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নবান্নের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি এবং সরকারি হাসপাতালগুলিকে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসকদের সাথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে করোনা মোকাবিলার জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। যেমন নাইট কার্ফু, ছোট ছোট কনটেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা ইত্যাদির বিষয়গুলি। মোটের উপর প্রধানমন্ত্রী এখনই লকডাউন জারি করার দিকে ঝুঁকতে চাননি।
[aaroporuntag]
অন্যদিকে দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেশজুড়ে করোনার এই বাড়বাড়ন্তে দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় যাতে রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল অথবা সমাবেশের সময় মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে হবে দুজনকেই। এই নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের বিধিতে থাকলেও তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না। যে কারণে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হলো।