নিজস্ব প্রতিবেদন : এযাবৎ চারচাকা, মোটরবাইক বা অন্যান্য গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হলেই গাড়ির জরুরী কাগজপত্র যেমন রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইন্স্যুরেন্স পেপার ও পলিউশন সার্টিফিকেট ইত্যাদির সাথে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স রাখা বাধ্যতামূলক ছিল। আর এই বাধ্যতামূলক নিয়মের কারণে বহু ক্ষেত্রেই দেখা গেছে জরুরী এই সকল কাগজপত্র হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন গাড়ির মালিক থেকে চালকরা। আর এবার সেই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দিতে নতুন নিয়ম চালু করল কেন্দ্র সরকার। এখন থেকে আর এইসকল জরুরী কাগজপত্র সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানানো হলো কেন্দ্রের তরফ থেকে। আর এই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে আগামী ১ লা অক্টোবর থেকে।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে নতুন যে নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে এই সকল জরুরী কাগজপত্র পোর্টালের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। আর এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে ইতিমধ্যেই রাজ্য পরিবহণ বিভাগ এবং ট্রাফিক পুলিশের কাছে একটি নোটিফিকেশন এসেছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।
রাজ্য পরিবহণ বিভাগ এবং ট্রাফিক পুলিশের কাছে যে নোটিফিকেশন এসেছে তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১ লা অক্টোবর থেকে গাড়ির চালকদের কাছে আর কাগজপত্র চাওয়া যাবে না। পরিবর্তে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে একটি সফটওয়্যার আনা হচ্ছে যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ অথবা অন্যান্য কর্মচারীরা গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করে নিতে পারবেন। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশদের কাছে একটি বিশেষ ধরনের মেশিন থাকবে যে মেশিনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেই সমস্ত রকম তথ্য যাচাই করা যাবে। যেসকল ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা এই কাজে নিযুক্ত থাকবেন তারা তাদের কাছে থাকা স্মার্টফোনেই পরিবহন সংক্রান্ত নতুন সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ১৯৮৯-এর মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্ট-এ একাধিক সংশোধন করা হয়েছে। আর এই সকল সংশোধনের অংশ হিসেবে নতুন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি চালকদের জরিমানা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সুবিধা আনতে চলেছে পরিবহন মন্ত্রণালয়। আর এই সকল সুবিধার কারণে চালকদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে। তবে ভোগান্তি কমলেও নতুন নিয়ম অনুযায়ী আইন ভাঙলে জরিমানার পরিমাণ পূর্বের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে।