চলবে না লোকাল থেকে মেল ট্রেন, রবিবার দেশজুড়ে রেলেও ‘কারফিউ’

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে সকাল ৭ টা থেকে রাত্রি ৯ টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা কারফিউয়ের ডাক দিয়েছেন। আর এই জনতার কারফিউকে অনেকে কটাক্ষ করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘WHO’ জানাচ্ছে অন্য কথা। তাদের মতে, যদি জনতা কারফিউ সফল করা যায় তাহলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকটাই সফলতা মিলতে পারে। আর রবিবার জনতা কারফিউয়ের জের ভারতীয় রেলেও। শনিবার মধ্যরাতের পর থেকে রবিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত রকম লোকাল ট্রেন। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বুঝে ন্যূনতম লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট সংস্থা।

রবিবার জনতা কারফিউয়ের জেরে কেবলমাত্র জরুরী পরিষেবাকে চালু রাখতে নামমাত্র লোকাল ট্রেন চালানো হবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোন শাখায় কতগুলি ট্রেন চলবে তা নির্ধারণ করবে ভারতীয় রেল ও ভারতীয় রেলের শাখাগুলি। এছাড়াও ওই একই সময়ে বাতিল করা হয়েছে ২৪০০ টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তবে রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যেসকল ট্রেনগুলি এই সময়ে মাঝ রাস্তায় থাকবে তাদের গন্তব্যে পৌঁছানো হবে। পাশাপাশি খালি ট্রেনগুলিকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হবে।

রবিবার অর্থাৎ ২২ শে মার্চ ভোর ৪টে ১০ থেকে সমস্ত রকম মেল এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি ট্রেনগুলিকে বাতিল করা হয়েছে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত। তবে এখানে একটি কথা মাথায় রাখা হয়েছে, যেসকল ইন্টারসিটি অথবা দূরপাল্লার ট্রেনে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করে সেগুলিকে সচল রাখা হবে। যাতে করে স্টেশনে বেশি ভিড় না হয়। এমনকি মাঝপথে কোন যাত্রীরা যদি থেকে যেতে চায় তাহলে তাদের অপেক্ষাকৃত ভিড় এড়িয়ে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া হবে। রেলের তরফ থেকে দেওয়া হবে জল। টাকা দিয়ে খাবার কেনার বন্দোবস্ত থাকবে যাত্রীদের।

পাশাপাশি ট্রেন বাতিলের টাকা ফেরতের জন্য যাত্রীদের যাতে ভোগান্তিতে না হয় তার জন্য সহজ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে রেল বন্ধ করা হলেও রেলের শাখাগুলি সমস্ত বিষয়টি নজরে রাখবে। কোন স্টেশনে যদি বেশি ভিড় হয়ে পড়ে তাহলে যাত্রীদের ভিড় কমানোর জন্য স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে।