North-East Railway: পুজোর আগেই যাত্রীদের জন্য এক বড়সড় চমক নিয়ে হাজির ভারতীয় রেল। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে (North-East Railway) নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে রেলের গতি, সুরক্ষা ও পরিষেবার মানের বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এবার আরও দ্রুত, আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যাত্রা উপভোগ করতে চলেছেন রেলযাত্রীরা। বিশেষত, ওল্ড মালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং কুমেদপুর-কাটিহার-মুকুরিয়া সেকশনগুলোতে চালু হচ্ছে রেলের আধুনিকীকরণের এক নতুন অধ্যায়।
নতুন অটোমেটিক ব্লক সিগনালিং বা এবিএস এবং ইন্টারমিডিয়েট ব্লক সিগনালিং বা আইবিএস সিস্টেমের বাস্তবায়ন রেলের নিরাপত্তা এবং কার্যক্ষমতা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। ওল্ড মালদহ-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩১ কিলোমিটার বিস্তৃত এবিএস সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যা এই অঞ্চলের রেল পরিষেবার ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি করবে। একইভাবে, কুমেদপুর-কাটিহার-মুকুরিয়া এবং নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি রুটেও ৫৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় আরও উন্নত প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হচ্ছে।
এই উন্নত প্রযুক্তির ফলে মোট ৭০২ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচলের গতি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষত এবিএস এবং আইবিএস সিস্টেমের মাধ্যমে রেলের সময়ানুবর্তিতা ও সুরক্ষা আরও সুনিশ্চিত হবে। ট্রেনের বিলম্বতা কমে যাবে, এবং একই রুটে একাধিক ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এর ফলে যাত্রীদের যাত্রা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও দ্রুত হবে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের (North-East Railway) আধিকারিকদের মতে, এই প্রকল্পের কাজ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যেই সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ওল্ড মালদহ-বারসই-আলুয়াবাড়ি-নিউ জলপাইগুড়ি এবং নিউ জলপাইগুড়ি-নিউ কোচবিহার-গুয়াহাটি সেকশনের কাজ চলছে পূর্ণোদ্যমে। প্রকল্প সম্পূর্ণ হলে এই অঞ্চলগুলিতে রেল পরিষেবার নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
আরো পড়ুন: রেলের উদ্যোগে টিকিট কনফার্ম না হলেও যেতে পারবেন এসিতে, জানুন বিস্তারিত খবর
এই বিশাল উদ্যোগ শুধুমাত্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেল (North-East Railway) পরিষেবায় উন্নতি আনবে না, পাশাপাশি অর্থনৈতিক কার্যকলাপেও ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। ব্যবসায়িক পরিবহণ হবে আরও দ্রুত, যাত্রীরা পাবেন সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা। রেলওয়ের আধুনিকীকরণের এই পদক্ষেপ দেশকে দ্রুত গতির, সুরক্ষিত এবং উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা এর ফলে উপকৃত হবে, এবং ভারতের রেল পরিষেবা আরও উন্নত ও আধুনিক হয়ে উঠবে। পুজোর আগে এই উদ্যোগ রেলের ইতিহাসে এক সোনালী অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে, যা ভারতীয় রেলকে গতি ও প্রযুক্তির যুগে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনার মাধ্যমে রেল পরিষেবার নতুন মাত্রা যোগ হবে।