Not Far away from Kolkata, into the Subarnarekha, you will get gold: বাঙালিরা এই নদীকে বলে সুবর্ণরেখা (Subarnarekha) আর হিন্দিভাষীরা একে বলে স্বর্ণরেখা। সত্যি সত্যিই যেন সোনা পাওয়া যায় এই নদীর জলে। ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে প্রবাহিত সুবর্ণরেখা যেন নদী নয়, সোনার খনি। হাতে করে সামান্য পরিমাণ জল তুললেই তার সাথে একটু হলেও সোনা উঠে আসবে আপনার হাতে। মূলত জলের স্রোতের সাথে সোনার টুকরো ভেসে আসে এই নদীতে।
ঝাড়খণ্ডের রাঁচি এলাকায় উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা (Subarnarekha) বা স্বর্ণরেখা। সুবর্ণরেখার একটি উপনদীর নাম করকরি। ৪৭৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করকরি নদীতেই পাওয়া যায় সোনার টুকরো। রাঁচি শহর থেকে করকরি নদীর দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। বহুদিন ধরেই এই ঘটনার আসল উৎস জানার জন্য গবেষণা চালাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সুবর্ণরেখায় সোনা বয়ে নিয়ে আসার স্বপক্ষে তেমন কোন জোরালো বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজে পাননি তারা।
ভূতাত্বিকদের মতে, সুবর্ণরেখার (Subarnarekha) গতিপথে এমন কিছু আছে যেখানে সোনা পাওয়া যায়। হয়তো কোন সোনায় মোরা পাথরের উপর দিয়ে বয়ে আসে সুবর্ণরেখা। আর নদীর স্রোতের ধাক্কায় সেই পাথর থেকেই টুকরো হয়ে যায় সোনা। সেই সোনার টুকরো গুলি জলের স্রোতে ভেসে আসে করকরি নদীতে। এলাকাবাসীর কাছে সুবর্ণরেখা কিন্তু সত্যিই সোনার খনি। রীতিমতো উপরী আয়ের অন্যতম বিকল্প হিসেবে বেছে নিয়েছেন সোনা সংগ্রহ করাকে। সুবর্ণরেখার জলে ভেসে বেড়ায় ধানের মতো সূক্ষ্ম সরু সোনার কুঁচি। সেগুলিকে সংগ্রহ করে বিক্রি করাকেই আয়ের অন্যতম পথ বানিয়ে ফেলেছেন এলাকাবাসী। করকরি নদীর নিকটস্থ সারেন্ডার ও তমাড় এলাকার অধিবাসীরা সকাল থেকে নদীর ধারেই অপেক্ষা করেন শুধু সোনার কুচি সংগ্রহ করার জন্য।
আরও পড়ুন ? Gold Jewelry Making Charge: সোনার গয়না কিনতে গিয়ে মেকিং চার্জে ঠকাচ্ছে না তো! রইল আসল হিসেব-নিকেশ
সোনা পাওয়ার বিষয়টি কেন্দ্র সরকারের নজরে আসে মাত্র কিছু বছর আগে। ২০১২ সাল থেকে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করে ভারত সরকার। কিন্তু এলাকাবাসীর মতে এই ঘটনা একেবারেই নতুন নয়, বহুদিন ধরেই নদীতে (Subarnarekha) সোনা বয়ে আসার কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। করকরি নদীর নিকটস্থ এলাকার বাসিন্দারা বেশিরভাগই ঝোরা জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তাদের মতে বহু কাল ধরেই নদীতে সোনা পাওয়া যায়। সেই কারণে এই এলাকার নামকরণ করা হয়েছে সোনাঝুরি।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়তো নদীর (Subarnarekha) তলায় কোন সোনার খনি আছে। সেখান থেকে এই সোনার উৎপত্তি। এই ধারণার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে সমগ্র এলাকা পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু তাতে তেমন কোন ফল পাওয়া যায়নি। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সোনার খনি খুঁজে বের করার বিষয়টি আর তেমনভাবে আমল দেওয়া হয়নি। বহু বছর পর আবারো সোনার খনির কথা উঠে এসেছে, মাটিতে সোনা পাওয়া গেছে। তারপরেই সরকারের পক্ষ থেকে আবারও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।