Lakshmir Bhandar Prakalpa: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাতে বাসের কল্যাণে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেন তার মধ্যে যে প্রকল্পটিকে তিনি এক কথায় সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পেরেছেন সেটি হল লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প (Laxmi Bhandar Prakalpa)। রাতে এমন বহু পরিবার রয়েছেন যাদের মহিলারা সংসারের কাজ করার পাশাপাশি আর উপার্জনের জন্য কোন কাজ করতে পারে না তাই এই সমস্ত মহিলাদের কথা মাথায় রেখে তিনি পরিবার কিছু প্রতি একজন মহিলাকে মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অঙ্ক ভাতা হিসেবে দেওয়া শুরু করেন
পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Prakalpa) প্রাথমিক লক্ষ্য হল পরিবারের মহিলা প্রধানদের একটি মৌলিক আয় দেওয়া। পরিবারের মহিলা প্রধানরা পাবেন মাসিক টাকা। বর্তমানে মহিলাদের মাসে দেওয়া হচ্ছে ১০০০ টাকা এবং ১২০০ টাকা করে। এই আর্থিক সহায়তার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজকর্মে অর্থায়ন করতে সক্ষম হবে। এই পরিকল্পনার কারণে তারা স্বাধীন হয়ে উঠবে। এই কর্মসূচি রাজ্যের গ্রামীণ ও শহুরে অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করবে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আর তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে বাইরের লোকের ওপর নির্ভর করতে পারে না।
আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক হতে হবে। সাধারণ বিভাগের জন্য, যে পরিবারগুলির অন্তত একজন কর-প্রদানকারী সদস্য রয়েছে তারা এই স্কিমের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না। যে সমস্ত সাধারণ শ্রেণীর নাগরিকদের ২ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে তারা এই প্রকল্পের অধীনে আবেদন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুন: ডিসেম্বর থেকে রেশন কার্ডে বড় পরিবর্তন, আপনি কি পাচ্ছেন আপনার কার্ডে
কিন্তু শুধু লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পই (Lakshmir Bhandar Prakalpa) নয় তৈরি হচ্ছে লক্ষী ভান্ডার ক্লাব। এই ক্লাব পাড়ার আর পাঁচটা সাধারণ ক্লাবের মত নয়। একেবারেই মহিলা পরিচালিত অন্য ধরনের ক্লাব যেখানে মহিলারা পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমাজের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে। এবার প্রশ্ন এই নতুন ধরনের ক্লাবটি কোথায় তৈরি হচ্ছে? লক্ষ্মী ভান্ডারের ক্লাবটি তৈরি হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সনকাডাঙ্গায়।
এই গ্রামে রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবার আছে। প্রত্যেকটি পরিবারেই কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। এখন থেকে সেই সমস্যার জন্য গ্রামের প্রধানদের কাছেই সরাসরি না গেলে হবে। প্রথমে মহিলারা এই লক্ষী ভান্ডার ক্লাবে আসবে। সেখানে যারা দায়িত্বে থাকবেন তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।