শুধু ১ লাখ নয়, লঞ্চ হয়েছিল ২২ কোটি টাকা দামেরও টাটা ন্যানো! এই গল্প আপনিও জানেন না

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার সন্ধ্যের পর থেকে শুধু আলোচনায় টাটা মোটরস (Tata Motors) আর টাটা ন্যানো (Tata Nano)। আর এর সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় যাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা সেই সিঙ্গুর। আসলে সিঙ্গুর থেকে টাটা ন্যানো কারখানা সরে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আর তারপরেই ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে টাটা (Tata Group)।

টাটা ন্যানো গাড়িটি ছিল রতন টাটার (Ratan Tata) স্বপ্নের গাড়ি। যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ যারা চার চাকা কেনার স্বপ্ন দেখেন তারা সহজেই সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন তার জন্যই এই গাড়ি লঞ্চ করা হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১০ জানুয়ারি যখন টাটা মোটরসের তরফ থেকে দিল্লিতে এই গাড়ি লঞ্চ করা হয়েছিল তখন এর দাম বলা হয়েছিল মাত্র ১ লক্ষ টাকা। কিন্তু জানেন কি, শুধু ১ লক্ষ টাকা নয়, ২২ কোটি টাকা দামেরও একটি টাটা ন্যানো গাড়ি লঞ্চ করা হয়েছিল!

প্রায় ১ দশক আগে টাটা মোটরস এবং তামিলনাড়ুর গোল্ড প্লাস জুয়েলারি যৌথভাবে ২২ কোটি টাকার টাকা ন্যানো গাড়িটি লঞ্চ করেছিল। দাম দেখেই বোঝা যায়, ওই গাড়িটি সাধারণ লোহা ইস্পাত দিয়ে তৈরি ছিল না। গাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল সোনা, রুপো সহ অন্যান্য বিভিন্ন বহুমূল্যবান ধাতু দিয়ে। ২২ কোটি টাকা মূল্যের টাকা ন্যানো গাড়িটি লঞ্চের পর তার নাম দেওয়া হয়েছিল Tata Nano Goldplus। কি কি ধাতু ব্যবহার করা হয়েছিল ওই গাড়িতে?

Tata Nano Goldplus গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছিল ৮০ কেজি ২২ ক্যারেটের সোনা। ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫ কেজি রুপো। এছাড়াও এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছিল বেশ কিছু বহু মূল্যবান রত্ন। বহু মূল্যবান সেই সকল রত্নের মধ্যে ছিল হীরে, রুবি ইত্যাদি। এই গাড়িটি যে সময় লঞ্চ করা হয়েছিল তখন তার দাম ছিল ২২ কোটি টাকা যা Aston Martin One 77 এর থেকেও বেশি।

এই গাড়ির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন টাটা মোটরসের চেয়ারম্যান রতন টাটা। গাড়িটি কেবলমাত্র মডেল ছিল না, পাশাপাশি সমস্ত রকম ফাংশনাল ছিল অর্থাৎ চাইলে এই গাড়ি যে কেউ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন যেকোনো জায়গায়। তবে তাহলেও এই গাড়ি বিক্রি করার জন্য লঞ্চ করা হয়নি। এই গাড়ি লঞ্চ করা হয়েছিল মূলত টাটা গ্রুপ মালিকাধীন গোল্ডপ্লাস জুয়েলারির ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য।