CBI On RG Kar: শুধু সন্দীপ ঘোষ নন, CBI গ্রেপ্তার করেছে আরও তিনজনকে, কোন মামলায় গ্রেপ্তার হলেন তারা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

কলকাতা: ৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিবাদ সমান তালে চলছে রাজ্যের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। সমানতালে চলছে বললেও ভুল হবে, কেননা আন্দোলনের ধার দিন দিন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই (CBI On RG Kar) সোমবার গ্রেপ্তার করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, শুধু সন্দীপ ঘোষ নন, সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে আরও তিনজনকে।

Advertisements

সিবিআই আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তদন্ত চালাচ্ছে। ১৬ দিন ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। তবে এই ঘটনায় সেইভাবে সিবিআইকে কোন পদক্ষেপ নিতে না দেখার কারণে চারদিকে যখন ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল ঠিক সেই সময় সোমবার সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

Advertisements

সন্দীপ ঘোষ সোমবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন আর্থিক দুর্নীতির মামলায়। অন্যদিকে বাকি যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তারাও সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলেই জানা যাচ্ছে। বাকি যে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন আফসার আলি, সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহ। গ্রেফতার হওয়া এই তিনজনের পরিচয় প্রসঙ্গে যা জানা গিয়েছে তাতে আফসার আলি হলেন সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী। অন্যদিকে বাকি দুজন ভেন্ডার হিসাবে কাজ করতেন।

Advertisements

আরও পড়ুন: Sandip Ghosh: পড়াশুনায় কেমন ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? কেমন ছিল তাঁর চরিত্র

আরজি কর কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ঠিক সেই সময় গ্রেপ্তার করা হয় যখন লালবাজার অভিযানে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাদের কাছে সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারির খবর পৌঁছাতেই রীতিমতো আনন্দে ফেটে পড়েন তারা। তবে এই গ্রেফতারি কিন্তু আর্থিক দুর্নীতির গ্রেফতারি। এক্ষেত্রে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রয়াত জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের উপর যে ঘটনা ঘটেছিল, যে ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা যতদিন না শাস্তি পাচ্ছেন ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনের আঁচ দিন দিন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লেও এখনো মূল দোষী কে বা কারা তা স্পষ্ট নয়। এক মাসের কাছাকাছি সময় ধরে চলছে তদন্ত। কখনো রাজ্য পুলিশ তো আবার কখনো কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু মূল দোষী কে বা কারা তা যতক্ষণ না প্রকাশ পাচ্ছে এবং উপযুক্ত শাস্তি হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলেই জানাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে আন্দোলনরত প্রত্যেকেই।

Advertisements