নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ তুলে আসছেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে মামলা চলছিল সোমবার তার রায় দান হয়। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ (SSC Recruitment HC Verdict) দেন।
হাইকোর্টের তরফ থেকে এমন নির্দেশের পর ২০১৬-র এসএসসিতে নিযুক্ত হওয়া গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশের হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারালেন। চাকরি হারানো মোট কর্মীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৫৩। ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে শূন্যপদের থেকেও বাড়তি শূন্যপদ তৈরি করে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। আর এই বেআইনি নিয়োগের ভাগীদার হিসেবে আজ সবাইকেই চাকরি খোয়াতে হলো।
শুধু চাকরি খোয়ানো নয়, এর পাশাপাশি যারা চাকরি খোয়ালেন তাদের বেতন ইতিমধ্যেই বেশ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন নয়, এর পাশাপাশি এতদিন যে বেতন তারা পেয়েছিলেন সেই বেতনের টাকা ফেরত দিতেও বলা হয়েছে। এত বছরের চাকরির যে বেতন সেই বেতন ফেরত দিতে গেলে কত টাকা চাকরি খোয়ানোদের ফেরত দিতে হবে তা আন্দাজ করাও মুশকিল।
আবার এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আদালতের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় চাকরি হারানোদের ১২ শতাংশ সুদও ফেরত দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশ যেন চাকরি হারানোদের কাছে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। আবার এই টাকা ফেরত দিতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে। কেননা একেই নির্দেশের পর চাকরি গেল। এরপর আবার বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে। আবার বেতনের টাকার উপর ১২% সুদ ফেরত দিতে হবে। পুরো হিসেব করলে টাকার অংক কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে একবার ভেবে দেখুন।
তবে আদালতের তরফ থেকে এদিন যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশে কেবলমাত্র একজনের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি হলেন সোমা দাস। যিনি একজন ক্যান্সার রোগী এবং ক্যান্সার আক্রান্ত অবস্থাতেই চাকরির জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়েছিলেন। তার চাকরি বহাল থাকবে বলেই আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আদালতই সোমাকে চাকরিতে নিযুক্ত করেছিল।