স্টিফেন হকিংয়ের মহাকাশ ভ্রমণের (Space Tourism) কথা জেনে চমকে গেছিল গোটা বিশ্ব। ইদানীংকালে আমাজন (Amazon) কর্তা জেফ বেজোস (Jeff Bezos) সহ একাধিক ধনকুবের মহাকাশ ভ্রমণ করেছেন। পকেটের জোর থাকলে আমি-আপনিও ঘুরে আসতে পারি তারার দেশ। সেই ব্যবস্থা প্রায় পাকা করে ফেলেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। ইসরোর আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, আর মাত্র বছর সাতেক পর অর্থাৎ ২০৩০ সালেই মহাকাশে ঘুরতে যেতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা। ইতিমধ্যে মহাকাশ বেড়ানোর টিকিটের মূল্যও নির্ধারণ হয়েছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ (S Somenath) জানিয়েছেন, ভারত মহাকাশ পর্যটন বা ‘স্পেস ট্যুরিজম’ (Space Tourism) নিয়ে যে পরিকল্পনা করেছিল, তা অনেক দূর এগিয়েছে৷ এমনকি, মহাকাশ ভ্রমণ করার জন্য রকেটের টিকিটের মূল্যও নির্ধারণ করা হয়েছে। এস সোমনাথ আরও বলেন, আগামী দিনে যে কেউ নিজেদের মহাকাশচারী হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন।
স্পেস ট্যুরিজম (Space Tourism) নিয়ে আমাদের কাজ পরিকল্পনামাফিক অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বে ব্লু অরিজিন (Blue Origin), ভার্জিন গ্যালাকটিক (Vergin Galactic) যে সংস্থাগুলি মহাকাশে ভ্রমণ করায়, তাঁদের টিকিটের মূল্য সাপেক্ষেই টিকিটের দাম নির্ধারণ করেছে ইসরো। আপনিও কি জানতে চান মহাকাশ সফরের জন্য ঠিক কত টাকা খরচ করতে হবে আপনাকে?
এস সোমনাথ এর উত্তরে জানিয়েছেন, রকেটে একটি টিকিটের দাম ৬ কোটি টাকার কাছাকাছি রাখা হবে৷ আপাতত তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্বমানের পরিসেবার কথা মাথায় রেখেই এই দাম নির্ধারিত হয়েছে৷ তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কতটা উচ্চতায় উড়বে এই রকেট, এই বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি ইসরোর প্রধান৷ ফলে উচ্চতা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পর্যটকরা৷
তবে মনে করা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত রকেটটিকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। প্রায় ১৫ মিনিট মহাকাশে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। ২০৩০ সালের মধ্যেই মহাকাশ সফরের সুযোগ পাবেন মহাকাশপ্রেমীরা৷ ফলে অপেক্ষা আর মাত্র সাত বছরের৷