নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারে আসার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা পেয়ে থাকেন উপভোক্তারা। তবে একসময় এই প্রকল্প সীমিত কিছু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প সার্বজনীন করেন।
এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন তা নিয়ে কোন সংশয় নেই। পাশাপাশি এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড রাজ্যের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। যাতে করে তারা কোনরকম শারীরিক অসুস্থতায় পড়লে অসুবিধার সম্মুখীন না হন। এবার এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের উপভোক্তাদের জন্য রাজ্য সরকার আরও বড় সুখবর দিল।
স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় মারণ রোগ ক্যান্সার সহ ৭০ ধরনের চিকিৎসার সুযোগ মিলবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণায় অন্ততপক্ষে রাজ্যের সাড়ে ১০ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন তা নিয়ে কোন সংশয় নেই। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মাসে অন্ততপক্ষে এক হাজার মানুষ চিকিৎসা করিয়ে থাকেন বিনামূল্যে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য সাথীর টাস্ক ফোর্সের আলোচনায় কত ধরনের জনমুখী রোগের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয় এবার থেকে ক্যানসারের জন্য তীব্র ব্যথার উপশমের চিকিৎসা-সহ আরও ব্যথা উপশমকারী চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্যের যে কোন জায়গায় নতুন ও পুরাতন যুক্ত হওয়ার রোগের চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে।
সূত্র মারফত যে সকল রোগের চিকিৎসার খরচ এই প্রকল্পের আওতায় পাওয়া যাবে সেই সকল রোগগুলি হল রেডিওফ্রিকোয়েন্সি, অ্যাবলেশন, রেডিওফ্রিকোয়েন্সি অ্যাবোলেশন ফর ফ্যাসেট জয়েন্টস, ইউএসজি গাইডেড পেরিফেরাল নার্ভ ব্লক সহ একাধিক রোগ।