নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের কারণে রাজ্যে মে মাস থেকে বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। চলছে কেবলমাত্র স্টাফ স্পেশাল, কিছু প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন, মেল এবং এক্সপ্রেস স্পেশাল। প্রথমদিকে এই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চাপার ক্ষেত্রে কারো অনুমতি না থাকলেও পরবর্তীকালে জরুরী পরিষেবা সাথে যুক্ত এবং আরও একাধিক কর্মীদের চাপার অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে এই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনিং চাপার ক্ষেত্রে মান্থলি টিকিট বাধ্যতামূলক ছিল। সম্প্রতি এই নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ‘অন ডিমান্ড’ ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই সকল স্টাফ স্পেশাল লোকাল ট্রেনে চাপার অনুমতি পাবেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষেরা। মঙ্গলবার থেকেই শিয়ালদা সহ বেশ কিছু স্টেশনে এই পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল এই ‘অন ডিমান্ড’ ব্যবস্থা কি?
‘অন ডিমান্ড’ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যাত্রীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চাপার অনুমতি দেওয়া হলেও জরুরী ক্ষেত্রের জন্যই তা ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা বলে জানানো হয়েছে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী যাত্রীদের মান্থলি টিকিট কাটার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে জরুরি কাজের জন্য যেদিন যাতায়াত করবেন সেই দিন টিকিট নিতে হবে কাউন্টার থেকে। টিকিট বুক করার সময় কাজের কারণে অর্থাৎ কোথায় কি জরুরি কারণে যেতে চাইছেন তা জানাতে হবে।
এই ব্যবস্থা নিয়ে আসা হয়েছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। যেমন গত শনিবার ছিল জয়েন্ট পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে টিকিট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে আগামী ২৩, ২৪, ২৬ ও ৩১ জুলাই রয়েছে রেলের পরীক্ষা। এই দিনগুলিতেও ছাড় পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
ঠিক তেমনই রাজ্যের বেশকিছু ক্যাটাগরি বেছে নেওয়া হয়েছে যাদের এই ‘অন ডিমান্ড’ ব্যবস্থায় স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চাপা অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যেমন কেউ ওষুধ কেনার জন্য কোথাও যেতে চান, কেউ রোগীকে দেখতে যেতে চাইছেন এমন একাধিক ক্ষেত্রের মানুষেরা ‘অন ডিমান্ড’ ব্যবস্থায় টিকিট কেটে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চাপবে পারবেন।