রামপুরহাট কাণ্ডে সরানো হলো OC ও SDPO কে

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাতে রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে নিহত হন। তবে এই ঘটনার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাদু শেখের গ্রাম বগটুই।

রাতের অন্ধকারে এলাকার তিন চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। যে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারি দাবি অনুযায়ী মারা যান আটজন। মৃত আট জনের মধ্যে আবার রয়েছেন মহিলা ও শিশুরাও। নৃশংস এই ঘটনা এখন জাতীয় খবরের শিরোনামে। তবে ঘটনার গুরুত্ব এবং ব্যাপকতা উপলব্ধি করে তৈরি করা হয়েছে সিট।

পাশাপাশি দায়িত্ব, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে রামপুরহাট থানার ওসি ত্রিদিপ প্রামানিক এবং রামপুরহাট মহকুমার এসডিপিও সায়ন আহমেদকে ক্লোজ করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। মৃত উপপ্রধান এবং অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

তদন্তের জন্য যে সিট গঠন করা হয়েছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ADG, CID জ্ঞানবন্ত সিং। এই টিমে রয়েছেন আরও দুজন আইপিএস অফিসার আইপিএস মিরাজ খালিদ ও সঞ্জয় সিং। অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনীতির কোন যোগ নেই বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ।

তিনি দাবি করেছেন, উপপ্রধান ভাদু শেখের হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তবে আজকের অগ্নিকাণ্ডে এতজনের মৃত্যু একেবারেই রাজনৈতিক নয়। আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। একই রকম দাবি করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

তবে প্রাথমিক তদন্তের পর অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট সার্কিটের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন তদন্তকারী এক আধিকারিক সঞ্জয় সিং। প্রাথমিক তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সাফ জানিয়েছেন, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষী প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হবে। এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।