Civil Service: সিভিল সার্ভিসের স্বপ্নপূরণ করতে সাহায্য করল ইউটিউব, রাঁধুনি বাবা গর্বিত কন্যার সাফল্যে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Civil Service: সাধারণত বলা হয় যার কেউ নেই তার ভগবান আছে। কিন্তু ভগবান সরাসরি এসে কখনোই ভক্তের সাহায্য করতে পারে না। বরং ভক্তের সাহায্যের জন্য কোন দূতকে পাঠায়। আধুনিককালে মানুষের এই দূত হল ইউটিউব। ওড়িশার বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেধাবী তরুণী বিনি মুরুলির জীবনযাত্রা এমনটাই তুলে ধরবে আপনার সামনে। মা হলেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং বাবা রান্নার কাজ করেন। তাদের পক্ষে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করা একেবারেই অসম্ভব। তাহলে কি তরুণীর জীবন থেকে হারিয়ে যাবে তার দেখা স্বপ্ন?

Advertisements

এমনটা মোটেই হয়নি। মেয়েকে কোচিং সেন্টারে দিয়ে পড়াশোনা করাবেন এমন সামর্থ্য তাদের নেই। কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন হলো প্রশাসক হওয়ার। যার জন্য সিভিল সার্ভিস (Civil Service) পরীক্ষায় বসতে হত। সিভিল সার্ভিসের কোচিং নিয়েছে ইউটিউব দেখে যা সত্যিই আশ্চর্যজনক। অবশেষে নিজের স্বপ্নকে পূরণ করার জন্য ওড়িশা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন তরুণী। নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং কষ্টের ফল পেয়েছেন ওই তরুণী।

Advertisements

আরো পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়ে ভারত মজেছে এ কোন দেশে! ভারতীয় পর্যটকরা রেকর্ড ভিড় জমালেন চলতি বছরে

সিভিল সার্ভিস (Civil Service) হল বিভিন্ন সরকারী পরীক্ষার মধ্যে সবথেকে কঠিনতম পরীক্ষা, যাতে চেষ্টা করলেও পাশ করতে পারে না অনেক ছাত্রছাত্রী। কিন্তু এই তরুণী ইউটিউবের সহযোগিতা নিয়েই পাশ করে গেল জীবনের এই কঠিন পরীক্ষা। ইন্টারনেট থেকেই পরীক্ষার জন্য স্টাডি মেটিরিয়ালও জোগাড় করতেন। ওড়িশার মালকানগিরির খেমাগুড়ার বাসিন্দা বিনি।

Advertisements

আরো পড়ুন: ট্রেন ছাড়তে দেরি হলে আর দুশ্চিন্তা নয়, নতুন সময় জানিয়ে চিন্তা কমাবে রেল

বিনি প্রথমবার সিভিল সার্ভিস (Civil Service) বসেছিলেন ২০২০ সালে। কিন্তু প্রথমবার তিনি পাশ করতে পারেননি এই পরীক্ষাতে। ব্যর্থতা তার জেদকে আরো বেশি বাড়িয়ে দিয়েছিল। সমস্ত বাধা বিপদ থেকে কাটিয়ে উঠে অবশেষে নিজের লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে এই আদিবাসী তরুণী। বোন্দা আদিবাসী সম্প্রদায়ের গর্ব হলো এই তরুণী।

শনিবার সন্ধ্যেবেলা সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছিল এবং তাতেই দেখা যায় তরুণীর র‍্যাঙ্ক হয়েছে ৫৯৬। বোন্দা সম্প্রদায় থেকে বিনিই হলো প্রথম এমন একজন তরুণী যে এতবড় একটি সরকারি পদে চাকরি পেয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারে বিনি জানিয়েছে যে, তিনি ভাল করেই জানতেন তার বাবা-মার পক্ষে কোচিংয়ের ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। অর্থাভাব যাতে কোনোভাবে তার জীবনের বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই চেষ্টাই করেছে এই তরুণী। কন্যার সাফল্যের রীতিমতো গর্বিত পিতা রাম মুরুলি, মা সুনামালি।

Advertisements