অনেক হলো দীঘা, দার্জিলিং! এবার ঢুঁ মারুন ঘরের কাছেই থাকা মন জুড়ানো এই জায়গায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : কথায় আছে বাঙালিদের মন টেকে না ঘরে। যে কারণেই বাঙালিদের বলা হয় ভ্রমণপিপাসু। তবে আবার অধিকাংশ বাঙালিদের ঘুরতে যাওয়া মানেই হাতেগোনা কয়েকটি জায়গা। সেই সকল জায়গার মধ্যে রয়েছে দীঘা, দার্জিলিং আর পুরি। কিন্তু একটু চোখ খুলে দেখলে লক্ষ্য করা যাবে ঘরের কাছেই মন জোড়ানো এমন সব জায়গা রয়েছে যেখানে একবার গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না।

যে সকল পর্যটকদের কাছে দিঘা, পুরি অনেকবার ঘোরা হয়ে গিয়েছে তারা এবার সপ্তাহান্তে যেতে পারেন বাঁকুড়া (Bankura)। বাঁকুড়ার এমন একটি জায়গার সন্ধান আমরা দিতে চলেছি, যে জায়গাটি শীতকালে ঘুরে আসার জন্য একেবারেই মনোরম। যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে সেটি হল কোড়ো পাহাড়। এই পাহাড় খুবই মনোরম, ফাঁকা এবং নিরিবিলি। পাহাড়ের মাথা থেকে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। তবে যেহেতু এই পাহাড়ের সেইভাবে নাম ডাক নেই তার জন্য পর্যটকদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায় না।

কোড়ো পাহাড় বাঁকুড়া শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে। এই পাহাড়টি যে বিশাল উঁচু পাহাড় তা নয়। এর উচ্চতা হবে মেরে কেটে ৫০০ ফুট। আবার এই পাহাড়ে ওঠার জন্য পাথর ভেঙ্গে কষ্ট করে উঠতে হবে না। পাহাড়ে ওঠার জন্য কংক্রিটের সিঁড়িও করে দেওয়া হয়েছে। আবার এই পাহাড়ের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে শালী নদী। পাহাড়ের পাশেই রয়েছে লাল মাটির রাস্তা, আর চারদিক গাছে ঘেরা। পাহাড়ের সৌন্দর্য কি তা ভাষায় বোঝানো বড় কঠিন।

এই পাহাড়ের উপর রয়েছে অষ্টভুজা পার্বতীর মন্দির। পাশাপাশি পাহাড়ের উপর রয়েছে একটি আশ্রম। সাধারণত সকাল ৯টা থেকে ১১ঃ০০ টা এবং দুপুর ৩টে থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা থাকে। তবে শীতের সময় তাড়াতাড়ি সূর্যাস্ত হয়ে গেলে মন্দিরের দরজাও তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাঁকুড়ার এই ছোট্ট জায়গাটির পরে বাঁকুড়া থেকে অমরকানন যাওয়ার পথে।

পার্বতী মন্দিরের সঙ্গে যে আশ্রম রয়েছে সেটি হল মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম। যে কারণে অনেকেই এই পাহাড়কে তপোবন বলে থাকেন। কলকাতা থেকে গাড়িতে করে বাঁকুড়ার এই পাহাড় আসার জন্য ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে হবে। লং ড্রাইভ করে অনায়াসেই এই পাহাড় আসা যায়। গাড়িতে করে কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার নিরিবিলি এই পাহাড় আসার জন্য অন্ততপক্ষে পাঁচ ঘন্টা সময় লাগবে।