নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় বুলবুল রাতভর তান্ডব চালিয়ে শক্তি হারিয়েছে। আপাতত এই ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে চলে গেছে। বুলবুলের অভিমুখ বাংলাদেশের দিকে হয়ে যাওয়ায় সঙ্কট কেটেছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের। সকালের দিকে আংশিক মেঘলা আকাশ, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, দমকা হাওয়া দেখা গেলেও ক্রমশই পরিষ্কার হচ্ছে আকাশ।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিস্তীর্ণ জেলায় সকালের দিকে কিছুটা মেঘলা আকাশ থাকলেও বিকাল গড়ানোর সাথে সাথে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। স্বাভাবিক হবে সমস্ত পরিস্থিতি। বিকালেই কেটে যাবে সমস্ত দুর্যোগ।
বুলবুল ঘূর্ণিঝড় সমুদ্র থেকে বিপুল পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। সেইমতো আগাম সর্তকতা হিসাবে কলকাতা বিমানবন্দরে ১২ ঘন্টা বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি বাতিল করা হয় হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনের বেশ কয়েকটি ট্রেন। তবে এই ঘূর্ণিঝড় ভূভাগে আসার পর কিছুক্ষণ নিজের দাপট দেখিয়ে শক্তি ক্ষয় করে ফেলে। ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয় নিম্নচাপে। বেশ কয়েক জায়গায় ট্রেন লাইনে গাছ পড়ে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
অন্যদিকে এই বুলবুলের আগাম সর্তকতা অনুসারে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত রকম বিপর্যয় মোকাবেলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। হাজার হাজার মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল অন্যান্য জায়গায়। আগাম সর্তকতা হিসাবে রাজ্যের সাতটি জেলার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল শনিবার। ছুটি বাতিল করা হয়েছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীদের।