নিজস্ব প্রতিবেদন : একটু বেশি বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন জলাধার টিকিয়ে রাখার জন্য সেই সকল জলাধারা থেকে জল ছাড়া হয়। গত শুক্রবার থেকে নিম্নচাপের কারণে বিপুল পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি ঝাড়খন্ডে। যে কারণে একাধিক চলাধার থেকে লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জলধার থেকে কিউসেক আকারে জল ছাড়া হয় এই বিষয়টি অধিকাংশ মানুষেরই জানা। কিন্তু এই কিউসেকের অর্থ (Cusec Meaning) কি? ১ কিউসেক সমান কত লিটার জল? তা অধিকাংশ মানুষেরই জানা নেই।
গত শুক্রবার থেকে গভীর নিম্নচাপের কারণে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেই বৃষ্টির জল থেকে বিভিন্ন জলাধারকে বাঁচানোর জন্য যে পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে তার কারণে আবার জলাধার পরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি বীরভূমের ময়ূরাক্ষী ব্যারেজ থেকে শুরু করে পশ্চিম বর্ধমানের ডিভিসি, ঝাড়খণ্ডের মাইথন, পাঞ্চেত সমস্ত জলাধার থেকে ধারাবাহিকভাবে জল ছাড়া হচ্ছে।
ময়ূরাক্ষী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কম থাকলেও ডিভিসি ব্যারেজ থেকে গত সোমবার থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মাইথন থেকেও প্রায় দু’লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। একইভাবে পাঞ্চেত থেকেও প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। আর এই বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ার ফলে আশঙ্কায় দিন কাটছে বহু মানুষের। কখন যে এলাকায় হু হু করে জল ঢুকবে সেই চিন্তায় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : South Sikkim: দক্ষিণ সিকিমের মায়াময় গ্রাম চালামথাং, পুজোর ছুটিতে হারিয়ে যান এক অদ্ভুত শান্তির জগতে
কিউসেকের মাধ্যমে তরল পদার্থ প্রবাহের পরিমাপ করা হয়। এটি আসলে একটি সূচক। যেমন কোন বস্তুর ওজন বোঝাতে গ্রাম, কিলোগ্রাম, দৈর্ঘ্য বোঝাতে মিটার, কিলোমিটার ব্যবহার করা হয় ঠিক সেই রকমই তরল পদার্থের প্রবাহ পরিমাপ বোঝাতে কিউসেক ব্যবহার করা হয়। বর্ষার সময় বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি সামনে আসতেই মানুষের মুখে মুখে কিউসেক কথাটি ঘুরে বেড়ায়।
এখন দেখে নেওয়া যাক ১ কিউসেক সমান কত লিটার জল? ১ কিউসেক সমান হল ২৮.৩২ লিটার জল। এক্ষেত্রে এক লাখ কিউসেক সমান হলো ২৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৮৫ লিটার জল। আশা করি বুঝতে পারছেন, কোন একটি জলাধার থেকে এক লাখ কিউসেক জল ছাড়া হলে কত লিটার জল ছাড়া হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ জল যে কোন একটি এলাকাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।